অপরাধ

এই ৩টি কারণে প্রসবকালে মৃত্যু হতে পারে মায়ের

অনেক সময় চোখের পলকে সুখ বদলে যায় দুঃখে। পালটে যায় জীবনের ধারা। যেখানে খুশির অবস্থান হওয়ার কথা ছিল সে জায়গা নিয়ে ফেলে দুঃখ। প্রসবের সময় যেখানে সমগ্র পরিবার নতুন সদস্য়কে অভিনন্দন জানাবে বলে অপেক্ষা করে থাকে, সেখানে যদি কোনও দুসংবাদ আসে তাহলে সেই পরিবারের উপর দিয়ে কী যেতে পারে কা হয়তো কেউ আন্দাজ করতে পারবেন না।

তাই তো চিকিৎসকেরা বলে থাকেন প্রাসবকালীন সময়ে শুধু বাচ্চার নয়, মায়েরও সমানভাবে খেয়াল রাখাটা জরুরি। কারণ দেখা গেছে আমাদের দেশে জন্মের সময় যেহারে বাচ্চার মৃত্যু হয়, তার থেকে অনেক বেশি হয় মায়ের মৃত্যু।

বাচ্চার জন্ম দেওয়ার পরে যদি মায়ের মৃত্যু ঘটে তাহলে তা কতটা বেদনা দায়ক একটু ভাবুন তো। সেই নবজাতক কোনও দিন তার মা কে ছুঁতে পারবে না। মায়ের অস্তিত্ব বলে একটা ছবি ছাড়া কিছুই থাকবে না তার কাছে। প্রসবকালে মায়ের জীবনাবসান হলে তাকে চিকিৎসা পরিভাষায় মেটারনাল ডেথ বলা হয়ে থাকে। অনেক কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে।

কিছু ক্ষেত্রে তো মায়ের সঙ্গে সঙ্গে নবজাতকের প্রাণটাও চলে যায়, আর এর জন্য় মা না চিকিৎসক, কাকে দায়ী করা যায় তা বোঝার উপায় থাকে না। তাহলে এখন প্রশ্ন কী কী কারণে এমন ঘটনা ঘটতে পারে? জানতে চোখ রাখুন বাকি প্রবন্ধে।

১. মেটারনাল ডেথের কারণ হিসাবে একেবারে প্রথম সারিতে রয়েছে উচ্চ রক্তচাপ। প্রসবের আগে থেকে মায়ের রক্তচাপ অনিয়ন্ত্রিত থাকলে ডেলিভারির সময় তা আরও বেড়ে গিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বা হার্ট অ্যাটাক হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই যারা রক্তচাপের সমস্য়ায় ভুগছেন, তারা মা হওয়ার আগে দয়া করে অতিরিক্ত সাবধানতা অবলম্বন করতে ভুলবেন না।

২. মাত্রাতিরিক্ত রক্তপাত: প্রসবের সময় অতিরিক্ত মাত্রায় রক্ত ক্ষরণের কারণেও মায়ের মৃত্য়ু ঘটতে পারে। এই ধরনের রক্তপাতকে চিকিৎসা পরিভাষায় অবস্ট্রেট্রিকাল হেমারেজ বলা হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে চিকিৎসক যদি রক্তক্ষরণ আটকাতে না পারেন বা প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শুরু করতে ব্য়র্থ হন, তাহলে একাধিক অঙ্গ কাজ করা বন্ধ হয়ে গিয়ে মায়ের মৃত্য়ু ঘটে।

৩. ইউটেরাইন রেপচার: প্রসবকালীন সময়ে মায়ের মারা যাওয়ার পিছনে আরেকটি যে কারণ দায়ী থাকে, তা হল ইউটেরাইন রেপচার। ডেলিভারির সময় মায়ের ইউটেরাসের উপর মারাত্মক চাপ পড়ে।

এই চাপকে যদি চিকিৎসক সামলাতে না পারেন তাহলে বাচ্চা বেরনোর সময় ইউটেরাসে মারাত্মক আঘাত লাগতে পারে। আর এমনটা হলে রক্তক্ষরণ এত বেড়ে যায় যে মায়ের মৃত্য়ু ঘটে। এই বিষয়গুলি মোটেও সুখের নয়। তবু লেখা এই কারণে যাতে কোনও বাচ্চা মায়ের আদর থেকে বঞ্চিত না হয়। তাই আপনিও যদি মা হতে চলেছেন তাহলে এই বিষয়গুলির উপর নজর রাখতে ভুলবেন না।

শিশুর শরীরে কোন তেল মাখবেন, জানুন ডাক্তারের কাছে। অন্য সময়ের চেয়ে শীতের ঋতুতে আবহাওয়া বেশি শুষ্ক থাকে।শীতে শিশুর জন্য প্রয়োজন একটু বেশি যত্ন নেয়া।কারণ শীতে শিশুরা অসুস্থ হয় বেশি বড়দের চেয়ে। শিশুদের রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা কম থাকে। সর্দি-কাশির মতো সাধারণ উপসর্গ থাকে,অসুস্থ হয় শিশুরা।

মায়েরা শিশুর ত্বক সুন্দর রাখতে বিভিন্ন ধরনের ময়েশ্চারাইজ লোশন ও তেল ব্যবহার করে থাকেন। অনেক মা জানেন না কোন তেল শিশুর জন্য ভালো। শীতে শিশুর সুরক্ষায় বিভিন্ন ধরনের তেল ব্যবহার করা যেতে পারে। আসুন জেনে নিই কোন তেল শিশুর ত্বকের জন্য ভালো।

সরিষার তেল: আদিকাল থেকেই শিশুর জন্মের পরে দাদি-নানিরা শিশুদের গায়ে সরিষার তেল গায়ে মাখাতে বলেন। সরিষার তেল ঝাঁঝালো হওয়ায় তা অন্য তেলের সঙ্গে মিশিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে। শীতে শিশুর জন্য সরিষার তেল খুবই ভালো। কারণ এটি শরীর উষ্ণ রাখে, বিভিন্ন রোগ-ব্যাধি থেকে দূরে রাখে।

অলিভ অয়েল: শীতে শিশুদের শরীরে অলিভ অয়েল মাখা যেতে পারে। অলিভ অয়েল তেল শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। তবে শিশুর চর্মরোগ থাকলে অলিভ অয়েল ব্যবহার না করা ভালো।

নারিকেল তেল: চুলের যত্নে নারিকেল তেলের জুড়ি নেই। অনেকে মনে করেন নারিকেল তেল শুধু চুলের যত্নে ব্যবহার জন্য ভাল। কিন্তু আপনি জানেন কি শিশুর ত্বকের জন্য নারিকেল তেল ভালো। শিশুর ত্বক সহজেই এই তেল শুষে নিতে পারে।শীতে মালিশের জন্য এতে চমৎকার উপাদান রয়েছে। এর অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল ও অ্যান্টিফাংগাল গুণ শিশুর ত্বকের জন্য উপকারী।

সূর্যমুখী তেল: সূর্যমুখী তেল ভিটামিন ‘ই’ সমৃদ্ধ। এতে যথেষ্ট পরিমাণে ফ্যাটি অ্যাসিড থাকে, যা শীতকালে শিশুর ত্বকের সুরক্ষায় বিশেষভাবে কাজ করে।

আয়ুর্বেদিক তেল: আয়ুর্বেদিক তেল সম্পর্কে আমরা কমবেশি সবাই জানি।এই তেলে বিভিন্ন ধরনের তেল ও বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপাদান পাবেন একই সঙ্গে। আয়ুর্বেদিক তেল শীতে শিশুর রুক্ষতা ও রোগ প্রতিরোধ করে রাখবে উষ্ণ।

ঘি: শীতে শিশুর শরীরের যত্নে ঘি মাখা যেতে পারে। ঘিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ‘এ’, ‘ডি’ ও ‘ই’ রয়েছে।ঘি’র মালিশ শিশুকে উষ্ণ রাখে, শরীরে রক্ত সঞ্চালন বাড়াবে।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৪ অক্টোবর ২০১৮, ৮:৩৩ অপরাহ্ণ ৮:৩৩ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ