বরাবরই জন্মের পর মা-বাবা, আত্মীয় স্বজনরা সন্তানের নামকরণ করে থাকেন। এর মধ্যে আসল নাম থাকে একটি যা জন্মসনদসহ জীবনের নানা গুরুত্বপূর্ণ জায়গাতেই ব্যবহৃত হয়। এ ছাড়া থাকে ডাক নাম। কারো একটি আবার কারোবা একাধিক। আত্মীয়স্বজন, বন্ধু-বান্ধব, পরিচিতজনরা মূলত এই ডাকনামগুলোতেই ডেকে থাকেন।
মাঝে-মধ্যে এই ডাকনামগুলো হয় অদ্ভুত কিংবা মজার। বাংলাদেশের ক্রিকেটারদেরও রয়েছে এমন অদ্ভুত কিংবা মজার সব ডাক নাম। এই যেমন ইমরুল কায়েস। বাঁহাতি এই ওপেনার ক্রিকেটাঙ্গনে পরিচিত ‘পটু’ বা ‘পটু ভাই’ নামে।
ইমরুলই হয়তো বাংলাদেশ দলের একমাত্র ব্যাটসম্যান, যিনি কি না এখন পর্যন্ত ৮-৯ বার বাদ পড়ে ফিরে এসেছেন। বারবার বাদ পড়েও ফিরে আসাতে পটু বলেই কী ইমরুলের ডাক নাম এমন? ম্যাচ পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্ন ছুঁড়ে দেওয়া হয়েছিল বাঁহাতি এই ওপেনারের দিকে। যদিও প্রশ্ন শুনেই হেসে দেন ইমরুল।
হাসি থামিয়ে পরবর্তী সময়ে এই নামের রহস্য ফাঁস করেন ইমরুল নিজেই। ৩১ বছর বয়সী বাঁহাতি এই ওপেনারের জানান, ভিক্টোরিয়া ক্লাবের এক কর্মকর্তার নাম ছিল পটু। তার এই নামে সতীর্থ এক ক্রিকেটারকে মজা করে ডাকতেন তিনি। এক সময় উল্টো তাকেই সবাই এই পটু নামে ডাকা শুরু করে দেয়।
নিজের ডাকনামের রহস্য নিয়ে বাঁহাতি ওপেনার ইমরুলের ভাষ্য, ‘পটু নামটা আসলে ভিক্টোরিয়ার একজন অফিসিয়ালের ছিল। আমাদের এক ক্রিকেটারকে আমি ডাকতাম এই নামটা বলে। ওই নামটা আমার দিকে কনভার্ট হয়ে গেছে। আমি জানি না কিভাবে আমার কাছে আসলো।’
পটু অর্থ্যাৎ ইমরুলের ব্যাটে চড়েই তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের প্রথমটিতে জিম্বাবুয়েকে ২৮ রানে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এই ম্যাচে ইমরুল খেলেন ক্যারিয়ার সেরা ১৪৪ রানের ইনিংস।
১৪০ বলের এই ঝলমলে ইনিংস খেলার পথে তৃতীয় উইকেটে মুশফিকুর রহিমের সঙ্গে ৪৯ রান, চতুর্থ উইকেটে মোহাম্মদ মিথুনের সঙ্গে ৫১ রান ও সপ্তম উইকেট জুটিতে মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের সঙ্গে ইমরুল গড়েন ১২৭ রানের জুটি। শেষ পর্যন্ত দল পায় ২৭১ রানের বড় পুঁজি।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২২ অক্টোবর ২০১৮, ১:৩৭ অপরাহ্ণ ১:৩৭ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…