রেসিপি

কে এই আইয়ুব বাচ্চু?

বাংলাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু। তিনি ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম জেলায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি চট্টগ্রাম শহরের এক বনেদী হাজী পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার ডাক নাম রবিন। সঙ্গীত চর্চার জন্য খুব একটা অনুকূল পরিবেশ না পেলেও ছোটবেলা থেকেই সংসারে থেকেও বোহেমিয়ান রবিন। বাউন্ডুলে স্বভাবের জন্য সংসারের কিছুই যেন স্পর্শ করতে পারছিল না তাকে।

তিনি একাধারে গায়ক, লিডগিটারিস্ট, গীতিকার, সুরকার, প্লেব্যাক শিল্পী। তিনি এল আর বি ব্যান্ড দলের লিড গিটারিস্ট এবং ভোকালিস্ট। মূলত রক ঘরানার কণ্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক গান, ক্লাসিকাল সঙ্গীত এবং লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি।

যেভাবে সংগীত জীবন শুরু: বাংলাদেশের ব্যান্ড জগতের সবচেয়ে জনপ্রিয় ও সম্মানিত ব্যক্তিত্বদের একজন আইয়ুব বাচ্চু সঙ্গীতজগতে যাত্রা শুরু করেন ফিলিংসের মাধ্যমে ১৯৭৮ সালে। এরপর তিনি ১৯৮০ থেকে ১৯৯০ সালে তিনি সোলস ব্যান্ডের সাথে যুক্ত ছিলেন।

আইয়ূব বাচ্চুর কণ্ঠ দেয়া প্রথম গান ‘হারানো বিকেলের গল্প’। তার প্রথম প্রকাশিত একক অ্যালবাম ‘রক্তগোলাপ’। ১৯৮৬ সালে রক্তগোলাপ একক অ্যালবামটি প্রকাশিত হয়। আইয়ূব বাচ্চুর সফলতার শুরু দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ময়না’র মাধ্যমে। ১৯৮৮ সালে এটি প্রকাশিত হয়। এরপর তিনি বাংলা ছবিতে প্লে-ব্যাকও করেন।

তিনি ১৯৯১ সালে এলআরবি ব্যান্ড গঠন করে। এলআরবি থেকে প্রথম অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৯২ সালে। এটি বাংলাদেশের প্রথম দ্বৈত অ্যালবাম। এই অ্যালবামের ‘শেষ চিঠি কেন এমন চিঠি’, ‘ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘হকার’ গানগুলো জনপ্রিয়তা লাভ করে। পরবর্তীতে তিনি সময়ে ১৯৯৩ ও ১৯৯৪ সালে তার দ্বিতীয় ও তৃতীয় ব্যান্ড অ্যালবাম ‘সুখ’ ও ‘তবুও’ বের হয়।

তার সর্বকালের সেরা একক অ্যালবাম প্রকাশিত হয় ১৯৯৫ সালে। যেটি তার তৃতীয় একক অ্যালবাম। অ্যালবামের নাম ‘কষ্ট’। ২০০৯ সালে একক অ্যালবাম ‘বলিনি কখনও’, ২০১১ সালে ‘যুদ্ধ’। সর্বশেষ ২০১৫ সালে তার পরবর্তী একক অ্যালবাম ‘জীবনের গল্প’ বাজারে আসে।

তার জনপ্রিয় গান: আইয়ূব বাচ্চু জনপ্রিয় গানের মধ্যে রয়েছে, ময়না, কষ্ট, প্রেম তুমি কষ্ট, দুটি মন, সময়, একা, পথের গান, ভাটির টানে মাটির গানে, জীবন, সাউন্ড অব, সাইলেন্স, রিমঝিম বৃষ্টি, সেই তুমি কেন অচেনা হলে, রূপালি গিটার, রাত জাগা পাখি হয়ে, কষ্ট পেতে ভালবাসি, মাধবী, ফেরারি মন, এখন অনেক রাত, ঘুমন্ত শহরে, বার মাস, হাসতে দেখ, এক আকাশের তারা, উড়াল দেব আকাশে এ গানগুলো ঘুরেছে মানুষের মুখে মুখে।

সারা ভারতীয় উপমহাদেশে তিনি গিটারিসট হিসেবে বিখ্যাত। তিনি জিমি হেন্ড্রিক্স এবং জো স্যাট্রিয়ানীর বাজনায় দারুনভাবে অণুপ্রাণিত। ঢাকার মগবাজারে আইয়ুব বাচ্চুর নিজের একটি মিউজিক স্টুডিও আছে। যার নাম এবি কিচেন। ২০১০ সালে তিনি ঈদের জন্য নির্মিত ট্রাফিক সিগন্যাল ও হলুদ বাতি শিরোনামের নাটকে অভিনয় করেন। বৃহস্পতিবার (১৮ অক্টোবর) সকাল ১০টায় স্কয়ার হাসপাতালে কিংবদন্তি সঙ্গীত শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৫৬ বছর।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৮ অক্টোবর ২০১৮, ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ ১১:৫৪ পূর্বাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ