একটি গ্রামের মোট জনসংখ্যা মাত্র পাঁচ। এর মধ্যে রয়েছেন একজন পুরুষ, তিনজন নারী ও একটি শিশু। সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলার খাজাঞ্চী ইউনিয়নে অবস্থিত এই ‘শ্রীমুখ’ গ্রামটি।
সরকারি গেজেটভুক্ত এই গ্রামে স্বাধীনতার আগে থেকেই বসবাস করে আসছেন একটি মাত্র পরিবার।
জানা যায়, খাজাঞ্চী ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্গত তেলিকোনা ও পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রামের মধ্যবর্তী গ্রাম হচ্ছে ‘শ্রীমুখ’। একসময় ওই গ্রামে (শ্রীমুখ) একটি হিন্দু পরিবার বসবাস করতেন।
১৯৬৪ সালে দাঙ্গার সময় ওই হিন্দু পরিবার তাদের বাড়িটি বর্তমান বাসিন্দা আফতাব আলীর পূর্ব পুরুষের কাছে বিক্রি করে অন্যত্র চলে যান। এরপর থেকে এই বাড়িতে আফতাব আলীর পরিবার বসবাস করে আসছেন।
শ্রীমুখ গ্রামে মাত্র পাঁচজন সদস্য হওয়ায় তারা পার্শ্ববর্তী পশ্চিম নোয়াগাঁও গ্রামের পঞ্চায়েতের সঙ্গে রয়েছেন। গ্রামটির যাতায়াত ব্যবস্থা খুবই খারাপ। যাতায়াতের জন্য নেই কোনো রাস্তা।
ছোট একটি আইল দিয়েই যাতায়াত করেন লোকজন। বিশেষ করে বর্ষা মৌসুমে এই গ্রামের লোকজন নৌকা ছাড়া বাড়ি থেকে বের হতে পারেন না।
শুকনো মৌসুমেও কাদা পেরিয়ে তাদের চলাচল করতে হয়। ফলে গ্রামের বাসিন্দাদের অনেক দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ছোট গ্রাম হওয়ায় তারা উন্নয়ন বঞ্চিত ও অবহেলিত রয়েছেন বলে মনে করছেন এ গ্রামের বাসিন্দারা।
এ বিষয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য আমির উদ্দিন জানান, বাংলাদেশে একটি বাড়ি নিয়ে গঠিত এ রকম একটি ছোট গ্রাম খুবই কম রয়েছে।
তিনি আরো জানান, এই বাড়ির আশপাশে নিজস্ব কোনো জায়গা না থাকায় তাদের কোনো রাস্তা নেই। তাই বাধ্য হয়েই তারা একটি ছোট আইল দিয়ে যাতায়াত করেন। গ্রামের বাসিন্দারা যদি রাস্তার জন্য জায়গার ব্যবস্থা করে দেন, তাহলে ইউনিয়ন পরিষদের উদ্যোগে রাস্তা নির্মাণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১০ অক্টোবর ২০১৮, ৩:০৪ অপরাহ্ণ ৩:০৪ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…