প্রবাস

বাংলাদেশের প্রথম এশিয়া কাপ ফাইনালে কি ঘটেছিল?

এশিয়া কাপ ২০১৮ এর অঘোষিত সেমিফাইনালে পাকিস্তানকে ৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে আসরের ফাইনাল ম্যাচ নিশ্চিত করেছে বাংলাদেশ।

প্রথমবারের মতো ওয়ানডে ফরম্যাটের এশিয়া কাপে পাকিস্তানকে হারানোর পাশাপাশি তৃতীয়বারের মতো প্রতিযোগিতাটির ফাইনাল ম্যাচে খেলার যোগ্যতা অর্জন করল বাংলাদেশ। ফলে এমন রূপকথার জয়ে স্বস্তির সুবাতাস বইছে টাইগার শিবিরে।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ২৩৯ রানের পুঁজি নিয়ে শুরুতেই পাকিস্তানকে চেপে ধরে। টাইগারদের সেই চাপের মাঝে দেয়াল হয়ে একাই দাঁড়িয়েছিলেন ইমাম উল হক। ব্যক্তিগত ৮৩ রানে তার বিদায়ের পর, বাংলাদেশের জয়টা ছিল সময়ের ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত পরিকল্পিত বোলিংয়ে আর কোনো ভুল করেনি বাংলাদেশ। ২০২ রানে থেমে যাওয়া পাকিস্তান। ফলে পাকিস্তানকে উড়িয়ে দিয়ে ছিনিয়ে নিয়েছে ৩৭ রানের এক মহামূল্যবান জয়।

বাংলাদেশ এর আগে দুইবার এশিয়া কাপের ফাইনালে উঠেছিল। ২০১২ সালে ওয়ানডে ফর‍ম্যাটে একবার, ২০১৬ সালে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে একবার।

এশিয়া কাপ ২০১২ তে ওয়ানডে ফরম্যাটে বাংলাদেশ প্রথম পর্বে ভারত ও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ফাইনালে ওঠে।

ফাইনালে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ ছিল পাকিস্তান।

সেই ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্ষে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় বাংলাদেশের ততকালীন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যাট করতে নেমে পাকিস্তান ১৯ রানেই ২টি উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে।

নাসির হোসেনের রান আউটের শিকার হয়ে দলীয় ৫৫ রানে ফিরে যান অধিনায়ক মিসবাহ উল হক। এরপর মোহাম্মদ হাফিজও দলীয় ৭০ রানে আব্দুর রাজ্জাকের বলে আউট হয়ে যাওয়ার পর পাকিস্তানের মিডল অর্ডার ও লোয়ার মিডল অর্ডারের ব্যাটসম্যানরা দদের হাল ধরে সামনের দিকে আগাতে থাকে। উমর আকমল ও হাম্মাদ আজম উভয়েই ৩০ রান করে করেন।

এরপর ‘বুম বুম’ খ্যাত ক্রিকেটার শহীদ আফ্রিদি স্বভাবসুলভ ২২ বলে ৩২ রানের একটি ঝড় ইনিংস খেলে সাঁজ ঘরে ফিরে যান। আর পাকিস্তানের বর্তমান অধিনায়ক সরফরাজ আহমেদ ৪৬ রানে অপরাজিত থাকেন। শেষ পর্যন্ত পাকিস্তান ৫০ ওভারে ৯ উইকেটে ২৩৬ রান সংগ্রহ করে।

পাকিস্তানের ২৩৬ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ও নাজিমুদ্দিন উদ্বোধনী জুটিতে ৬৮ রান করেন।

এরপর নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। দলীয় ৮১ রানে তামিম ইকবাল ব্যক্তিগত ৬০ রান করে উমর গুলের বলে আউট হন। নাজিমু্দ্দিন ৫২ বল খেলে করেন ১৬ রান এবং নাসির হোসেন ৬৩ বল খেলে ২৮ রান করেন।

এরপর বিশ্ব সেরা সাকিব আল হাসান ৭২ বলে ৬৮ রানের ইনিংস খেলে সাঁজ ঘরে ফিরে যান। শেষ ৫ ওভারে যখন ৪৭ রান দরকার তখন আউট হন অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম মুশফিকুর রহিম।

বাংলাদেশের বর্তমান অধিনায়ক মাশরাফি বিন মর্তুজা ৩টি চার মেরে রান ব্যবধান কমিয়ে আনেন। তবে তিনিও দলীয় ৪৮তম ওভারে আউট হয়ে যান।

শেষ দুই ওভারে বাংলাদেশের ১৯ রান দরকার ছিল। ক্রিজে থাকা মাহমুদুল্লাহ ও আব্দুর রাজ্জাক ৪৯তম ওভারে ১০ রান নেন।

৫০তম ওভারে লক্ষ্য দাঁড়ায় ৯ রান। পাকিস্তানের হয়ে বোলিং করতে আসেন আইজাজ চিমা। প্রথম চার বলে ৫ রান নেন টাইগার ব্যাটসম্যানরা। শেষের দুই বলে প্রয়োজন ছিল ৪ রান।

ওই ভারের ৫ বলে আব্দুর রাজ্জাক আউট হয়ে যান, শেষ বলে একটি লেগ-বাই রান আসে। ম্যাচে ফলাফল দাঁড়ায় পাকিস্তানের কাছে বাংলাদেশ ২ রানে পরাজিত।

এমন হারের পর বাংলাদেশের মুশফিক, সাকিব, নাসির হোসেনরা মাঠেই কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন। মিরপুরের গ্যালারি ভর্তি দর্শকও কান্নায় ভেঙে পড়েন। অবশ্য সেই টুর্নামেন্টে সিরিজের সেরা ক্রিকেটার হন অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৮, ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ ১১:৫৯ পূর্বাহ্ণ

শেয়ার করুন
দ্বারা প্রকাশিত
বিডিভিউ২৪ ডেস্ক

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ