আসিফ নজরুলের সঙ্গে আরেকবার ভেগেছিলেন শীলা

এর আগেও আসিফ নজরুলের হাত ধরে ভেগে গিয়েছিলেন হুমায়ূনকন্যা শীলা আহমেদ। তখন শীলার চাচা অধ্যাপক জাফর ইকবাল অনেক দেনদরবার করে ফিরিয়ে আনতে পেরেছিলেন ভাতিজিকে।

সম্প্রতি নিজেদের ব্যক্তিগত ফেসবুক অ্যাকাউন্টের কভারে দুজনের ঘনিষ্ঠ একটি ছবি পোস্ট করেন আসিফ নজরুল ও শীলা আহমেদ। এই ছবির সূত্র ধরে জানা যায়, তারা নাকি মাস দুয়েক আগে বিয়ে করেছেন। তার আগেই আসিফ নজরুলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হয়ে যায় অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচীর।

ফেসবুকে আসিফ নজরুল ও শীলা আহমেদের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ওই ছবির সূত্রে আরো জানা যায়, দেশের প্রখ্যাত ঔপন্যাসিক হুমায়ূন আহমেদ তার কন্যার (শীলা) বয়সী অভিনেত্রী মেহের আফরোজ শাওনকে বিয়ের পর একপ্রকার বেপরোয়া হয়েই আসিফের সঙ্গে ভেগে যান শীলা।

তখন আসিফ-শীলার বিয়ের জোরালো গুঞ্জন উঠেছিল। কিন্তু তারা বিয়ে করতে পারেননি দুই পরিবারের বাধার কারণে। তবে তাদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল। সেই সম্পর্কের কারণেই ঘর ছেড়ে পালান শীলা আহমেদ। গিয়ে ওঠেন আসিফ নজরুলদের এলিফ্যান্ট রোডের ভাড়া বাসায়। সেখানে কয়েক দিন অবস্থানের পর জাফর ইকবাল ফিরিয়ে আনেন শীলাকে।

সূত্র জানায়, রোকেয়া প্রাচীর সঙ্গে বিচ্ছেদের পর আবার আসিফ নজরুল যোগাযোগ শুরু করেন শীলার সঙ্গে। সেই চেষ্টায় সফল হন তিনি। দুই মাস আগে তাদের বিয়ের কাজটি সম্পন্ন হলেও এত দিন তা অনেকটা অজানাই ছিল। আসিফ-শীলা দুজনের ফেসবুক অ্যাকাউন্টে একান্ত মুহূর্তের ছবি প্রকাশের পর বিষয়টি আলোচনায় চলে আসে।

এর আগে অভিনয়শিল্পী রোকেয়া প্রাচীর স্বামী সার্জেন্ট আহাদ ছিনতাইকারীদের গুলিতে নিহত হবার পর এক সন্তানসহ তাকে বিয়ে করেন আসিফ নজরুল। আসিফ-প্রাচীর সংসারে আসে আরেক সন্তান।

ছয় বছরের সন্তানসহ আবারও বিবাহবিচ্ছেদ ঘটে রোকেয়া প্রাচীর। অন্যদিকে শীলা আহমেদও এর আগে একবার বিয়ে করেছিলেন। ওই সংসারে চার ও দুই বছর বয়সী দুটি সন্তান রয়েছে তার।

ড. আসিফ নজরুল (জন্মঃ ১২ জানুয়ারি ১৯৬৬) একজন বাংলাদেশী অধ্যাপক,গবেষক, কলামিস্ট ও সুশীল সমাজের কর্মী। তিনি বর্তমানে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগে অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত আছেন।

আসিফ নজরুল ১৯৯৯ সালে সোয়াস (স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজ) ইউনিভার্সিটি অব লন্ডন থেকে তার পিএইচডি সম্পন্ন করেন।[২] পরবর্তীতে জার্মানীর বন শহরের ইনভাইরনমেন্টাল ল’ সেন্টার থেকে তিনি পোস্ট ডক্টরেট ফেলোশিপ অর্জন করেন। তিনি স্কুল অফ ওরিয়েন্টাল অ্যান্ড আফ্রিকান স্টাডিজে একজন কমনওয়েলথ ফেলো হিসেবে কাজ করেন।

আসিফ নজরুল একজন সংবিধান বিশেষজ্ঞ এবং টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব। ইউএনডিপি, এডিবিসহ মানবধিকার সংস্থা, আইনের শাসন, পরিবেশগত সমস্যা ইত্যাদি ভিত্তিক বিভিন্ন ধরনের আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে তে কনসালট্যান্ট হিসাবে কাজ করার অনেক অভিজ্ঞতা আছে।

তিনি প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার পত্রিকায় নিয়মিত কলাম লিখেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষক হিসেবে যোগদানের পূর্বে ১৯৯১ সালে তিনি একটি বহুল প্রচারিত সাপ্তাহিক পত্রিকা বিচিত্রায় কাজ করতেন।

তিনি কিছু সময় বাংলাদেশ সরকারের একজন সরকারি কর্মকর্তা (ম্যাজিস্ট্রেট) হিসেবে কাজ করেছেন। বর্তমানে তিনি রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে পরিচিত। জাতীয় ও আন্তর্জাতিক বিভিন্ন মিডিয়ায় তাকে প্রায়ই দেখা যায়। গত শতকের নব্বইয়ের দশকের শুরুতে তিনি একজন ঔপন্যাসিক হিসেবে সুপরিচিত হন। তিনি ৯টি উপন্যাস ও ৪টি নন-ফিকশন গল্প লিখেন।