অপরাধ

অতিরিক্ত মাংস খেলে শরীরে যা হতে পারে, জেনে নিন...

কোরবানির ঈদ শেষ। কিন্তু মাংস খাওয়ার প্রবণতা এখনো পুরোপুরি শেষ হয়নি। অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার ফলে শরীরে ক্ষতিকর প্রভাব পড়ছে না তো? স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য বা শরীরের পুষ্টির জন্য আমরা অনেক পুষ্টিকর খাদ্য বা আমিষ জাতীয় খাদ্য খেয়ে থাকি। কিন্তু এটি উপকারের পাশাপাশি কী ধরনের ক্ষতিকর প্রভাব ফেলছে সে বিষয়টি জানতে হবে।

মাংসের পুষ্টিগুণ: লাল মাংস যে শুধু ক্ষতিকর তা নয়; এতে আছে প্রচুর পরিমাণ প্রোটিন, ভিটামিন-বি কমপ্লেক্স, আয়রণ, জিংক- যা আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারি।

মাংস খাওয়ার নিয়ম ও পরিমাণ: একদিনে ৮৫গ্রাম লাল মাংস খাওয়া যেতে পারে। এটা দেখতে মাঝারি সাইজ পাউরুটির টুকরার মতো হবে। সেই সঙ্গে মাংস অবশ্যই নিয়ম মেনে খেতে হবে। খাবারের সঙ্গে পর্যাপ্ত সালাদ ও সবজি রাখতে হবে। এটি হজম প্রক্রিয়াকে সহজ করবে। লাল মাংসে ফাইবার বা আঁশের পরিমাণ কম থাকে বলে হজমে সমস্যা হয়। এজন্য পর্যাপ্ত সালাদ ও সবজি খাদ্য তালিকায় রাখা খুব জরুরি। সেই সঙ্গে পর্যাপ্ত পানি খেতে হবে। কারণ পানি পরিপাকে সাহায্য করে।

লাল মাংস খাওয়ার ফলে স্বাস্থ্য ঝুঁকি: #অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার ফলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি অনেক বেশি বেড়ে যায়। পাশাপাশি ফুসফুস ক্যানসার, খাদ্যনালির ক্যানসার, মলাশয়ে ক্যানসার, লিভার ক্যানসার এমনকি অগ্নাশয়ে ক্যানসার হতে পারে।

#হৃৎপিণ্ডের বিভিন্ন রোগের সঙ্গে মাংস খাওয়ার সম্পর্ক রয়েছে। অতিরিক্ত মাংস খাওয়ার ফলে রক্তচাপ বাড়তে পারে, স্ট্রোক, হার্ট ফেইলও হয়ে থাকে। বিশেষ করে ৪৫ থেকে ৬৫ বছর বয়সের মধ্যে নিয়মিত মাংস খাওয়ার ফলে হৃৎপিণ্ডের রোগ হওয়ার ঝুঁকি ৩ গুণ বেড়ে যায়। #পশুর ওজন বৃদ্ধির জন্য ও সুস্থ রাখার জন্য যে এন্টিবায়োটিক খাওয়ানো হয় বা যে হরমোন পশুর শরীরে ব্যবহার করা হয় সেসব পশুর মাংস খাওয়া মানুষের শরীরের জন্য খুবই ক্ষতিকর।

প্রক্রিয়াজাত করা মাংস খাওয়ার ঝুঁকি: প্রক্রিয়াজাত করা লাল মাংস যেমন- কাবাব, সসেজ, বার্গার প্যাটি, বিফ বল ইত্যাদি খেলে হৃৎপিণ্ডে রোগ, কোলোরেক্টল ক্যানসার এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিস হওয়ার সম্ভাবনা কয়েকগুণ বেড়ে যায়। সেই সঙ্গে ব্লাড ভেসেলস নমনীয়তা হারায়- যা রক্ত চলাচলে বাধা সৃষ্টি করে।

সতর্কতা: মাংস জাতীয় খাবার খাওয়ার পরে অনেকেই হজম প্রক্রিয়া বাড়ানোর জন্য কোমলপানীয় পান করেন- যা একেবারেই খাওয়া উচিত নয়। আমাদের মাথায় রাখতে হবে পরিমিত খাবার, পর্যাপ্ত আঁশ জাতীয় খাবার এবং পানিই কেবল শরীর সুস্থ রাখতে পারে। এ সময় কিছু পেটের সমস্যা হয় এজন্য হাতের কাছে স্যালাইন রাখা জরুরি।

কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি: #নিয়মিত ব্যায়াম করতে হবে। #প্রতিদিন খাবারের তালিকায় সালাদ ও শাকসবজি রাখুন। #পরিমাণ মতো পানি পান করুন। #অতিরিক্ত চর্বিযুক্ত মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। #হাঁটাচলা করার অভ্যাস করুন। অতিরিক্ত কোনো খাবার খাওয়াই ভালো না। এজন্য যা কিছুই খান না কেন তা যেন হয় পরিমাণ মতো সেদিকে বিশেষ খেয়াল রাখুন। ভালো থাকুন।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৬ আগস্ট ২০১৮, ৯:৩৮ অপরাহ্ণ ৯:৩৮ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ