পুরান ঢাকার কেন্দ্রীয় কারাগারের চার দেয়ালের ভেতরেই ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহার ঈদও কাটাতে হচ্ছে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে। যদিও এই অভিজ্ঞতা তার জন্য নতুন নয়। এক দশক আগে এক-এগারোর সময় রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে গ্রেফতার হয়ে সংসদ ভবন এলাকার সাব জেলে ঈদুল ফিতর ও ঈদুল আজহার ঈদও কাটিয়েছিলেন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
সে সময় খালেদা জিয়ার মতো বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনারও দুটি ঈদ কাটাতে হয়েছিল কারাবন্দি অবস্থায়। পাশাপাশি ভবনে ছিলেন দুইজন। ঈদুর ফিতরের মতো এই ঈদেও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদার একমাত্র সঙ্গী থাকবেন গৃহকর্মী ফাতেমা। তবে ঈদে পরিবার ও স্বজনদের সাক্ষাৎ করার কথা আছে বিএনপি প্রধানের সঙ্গে।
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, এবারের ঈদে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী, সন্তানের সাক্ষাৎ করার কথা আছে। গত ১৩ আগস্ট তারা লন্ডন থেকে দেশে আসেন। ঢাকায় এসে তারা কারাগারে গিয়ে বিএনপি নেত্রীর সাথে দেখাও করে এসেছেন। কারা সূত্রে জানা গেছে, ঈদের দিন খালেদা জিয়ার খাবারের তালিকায় থাকছে বিশেষ আয়োজন। এসব খাবার কারাগার থেকেই সরবরাহ করা হবে, যা বিএনপির চেয়ারপারসনের জন্য বিশেষভাবে প্রস্তুত করা হবে। কারা চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ীই রান্না করা হবে খাবারগুলো।
সূত্র আরেও জানায়, ঈদের দিন পরিবারের সদস্যদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার সঙ্গে তারা দেখা করতে পারবেন। তাদের আনা খাবারও খেতে পারবেন, তবে তা পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই তাকে সরবরাহ করা হবে। প্রসঙ্গত, গত ৮ ফেব্রুয়ারি বেগম খালেদা জিয়াকে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেয়া হয়। ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার পরপরই বেগম খালেদা জিয়াকে আদালত থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। বর্তমানে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২২ আগস্ট ২০১৮, ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ ১২:০৭ পূর্বাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…