এই ভাইটি আসলে কে?

পুলিশের মধ্যে লুঙ্গি পরা এই ভাইটি কে? তিনি কি পুলিশ? তাঁর পরনে লুঙ্গি আর গেঞ্জি কেন? হাতেই বা কেন বাঁশের লাঠি? এই রহস্যের সম্ভাব্য কিছু সমাধান দিলেন আশফাকুর রহমান ও সোহাইল রহমান

■ তিনি আসলে একজন চরম ক্রিকেটপাগল সাধারণ নাগরিক। বাংলাদেশ উইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজ জেতায় তিনি বল এবং স্টাম্প হাতে ভিক্টরি ল্যাপ দিচ্ছিলেন।

■ জনসংখ্যার দিক দিয়ে অষ্টম হলেও আমাদের নেই কোনো অলিম্পিক পদক। তাই এই ভাইটি অলিম্পিক পদক জয়ের জন্য নিজেকে প্রস্তুত করতে গোলক নিক্ষেপ এবং বর্শা নিক্ষেপের অনুশীলন করছিলেন। অনুশীলনে অত্যন্ত মগ্ন থাকায় আশপাশে পুলিশ থাকার ব্যাপারটি তিনি
টেরই পাননি।

■ ক্রিকেট-ফুটবল খেলার সময় কখনো কখনো ভক্ত-দর্শকেরা মাঠে ঢুকে যান। তেমনি পুলিশের পারফরম্যান্স ভালো লাগায় হয়তো এই ভাইটি পুলিশের ভক্ত হিসেবে তাদের ডিউটির ভেতরে নেমে গেছেন। এবং স্মারক হিসেবে লাঠি ও ইট নিয়ে বেরিয়ে চলে যাচ্ছেন।

■ এই ভাইটি হয়তো পুলিশ বাহিনীতে ইন্টার্নশিপ করছেন। তিনি একজন ইন্টার্ন পুলিশ। এখনো চাকরি পোক্ত হয়নি বলে ড্রেসও পাননি। তবে পুলিশের সঙ্গে থেকে কাজ শিখছেন।

■ ছোটবেলা থেকেই এই ভাইটির ইচ্ছে ছিল পুলিশ হওয়ার। পুলিশের পোশাককে তিনি অত্যন্ত সম্মান করেন। ধুলা-ময়লা থেকে বাঁচাতে তিনি সচেতনভাবেই ইউনিফর্মটি পরিহার করেছেন।

■ এই ভাইটি আসলে পুলিশই। আগের দিন সারা রাত ডিউটি করে সকালের দিকে একটু ঘুমিয়েছিলেন। কিন্তু পুলিশের জীবনে কি আর বিশ্রাম বলতে কিছু আছে? সকালে ইমারজেন্সি কল পেয়ে এক মুহূর্ত দেরি না করে যে পোশাকে ঘুমাচ্ছিলেন, সেই পোশাকেই ডিউটিতে চলে এসেছেন। এ রকম কর্তব্যপরায়ণ মানুষ প্রতিটি সেক্টরে থাকলে দেশের চেহারাই বদলে যেত।

■ আজকাল অল্পবিস্তর বৃষ্টি হলেই ঢাকার রাস্তা হয়ে যায় নদী। কাজের চাপে তিনি সম্ভবত গোসল করার সুযোগ পাচ্ছিলেন না। তাই আকাশে মেঘ দেখে একেবারে গোসল করার প্রস্তুতি নিয়ে ডিউটিতে এসেছিলেন।

■ পুলিশ জনগণের বন্ধু। এই ব্যাপারটা প্রতীকীভাবে ফুটিয়ে তোলার জন্য তিনি পুলিশ হয়েও সাধারণ জনগণের বহুল ব্যবহৃত অত্যন্ত সাধারণ একটি পোশাক পরে জনগণের সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশ করেছেন।

■ তিনি আসলে পুলিশের বড় কর্তা। দায়িত্বের ব্যাপারে তিনি এতটাই নিষ্ঠাবান যে বাসায় লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরে ঘুমানোর সময় ‘আক্রমণে যেতে হবে এক্ষুনি’—এই নির্দেশ পেয়ে ড্রেস পরে আর সময় নষ্ট করেননি। লুঙ্গি আর গেঞ্জি পরেই বিছানা থেকে সরাসরি অ্যাকশনে নেমে পড়েছেন।

■ তিনি একজন সাদাপোশাকের পুলিশ। তাই সাদা গেঞ্জি এবং গেঞ্জির সঙ্গে মানানসই একটি লুঙ্গি পরেছিলেন।

■ তিনি আসলে গোয়েন্দা পুলিশ। ঢাকার রাস্তায় ছদ্মবেশে বাদাম বিক্রি করছিলেন। হঠাৎ অ্যাকশন শুরু হয়ে গেলে বাদামের ঝুড়ি ফেলে লাঠি হাতে ছদ্মবেশেই ছুটে আসেন। যোগ দেন কাজে।

■ খেলোয়াড়দের যেমন কোচ থাকে, তিনি তেমন পুলিশের কোচ। পুলিশ সদস্যদের হাতে–কলমে শেখাচ্ছিলেন কীভাবে ইট ছুড়তে হয়। আর খেলোয়াড়দের মতো কোচদের ইউনিফর্ম পরতে হয় না। তাই তিনি ছিলেন নিজের প্রিয় পোশাক লুঙ্গি আর গেঞ্জিতেই।

-প্রথম আলো

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৩ আগস্ট ২০১৮, ৬:০৯ অপরাহ্ণ ৬:০৯ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ