রাজধানীর শ্যামপুরের বৌবাজার এলাকায় জাল টাকা তৈরির কারখানায় অভিযান চালাচ্ছে গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল। বুধবার (৬ জুন) দুপুরে ওই বাড়িতে জাল টাকার নোট তৈরির সময় হাতেনাতে ধরা পড়ে চক্রটি। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল। অভিযান শেষে সংবাদ সম্মেলন করে বিস্তারিত জানানো হবে বলে জানিয়েছে ডিবি।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, প্রতি এক লাখ জাল টাকা তৈরি করতে তাদের খরচ হতো ৬-৭ হাজার টাকা এবং তৈরিকৃত এক লাখ জাল টাকা বিক্রি করতো ১০ হাজার টাকায়।
:::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::::
আসছে ঈদ যেভাবে চিনবেন জাল নোট! জেনে নিন
বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পক্ষ থেকে সমস্ত ব্যাংকগুলোর ওপর জারি করা কেন্দ্রীয় এক নির্দেশনায় বলা হয়েছে, ঈদের আগে নোট জাল চক্রের ‘অপতৎপরতা’ বাড়ে এবং তার জন্য কিছু ব্যবস্থা নিতে হবে।
একই সঙ্গে কীভাবে জাল নোট সহজে চেনা যায়, সে সম্পর্কেও নির্দেশনাগুলো নতুন করে মনে করিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক।
কীভাবে চেনা যাবে জাল নোট?
বাংলাদেশ ব্যাংকের কর্মকর্তারা জানান, সাধারণ মানুষজন যাতে সহজে জাল নোট শনাক্ত করতে পারে তার জন্য তারা নানা ধরনের সচেতনতামূলক প্রচারণা চালাচ্ছেন।
বিভিন্ন ব্যাংক ব্রাঞ্চের ভেতরে ছাড়াও, পুরো রোজার সময় বিভিন্ন বিভাগীয় শহরের ব্যস্ত মোড়ে বড় স্ক্রিনে সন্ধ্যায় এ সম্পর্কিত ভিডিও দেখানোর ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।
এগুলো দেখে মানুষ কীভাবে জাল জোট শনাক্ত করতে পারবে?
কেন্দ্রীয় ব্যাংক মানুষজনকে সাধারণ কিছু ধারণা দেওয়ার চেষ্টা করছে।
১. ২০ টাকা এবং তদূর্ধ্ব মূল্যমানের আসল নোটের ওপরের প্রতিচ্ছবি, লেখা মূল্যমান এবং নকশার ওপর হাত বুলালে তা অমসৃণ, খসখসে লাগবে। জাল নোটে তেমন বোধ হবে না।
২. ১০ টাকা এবং তদূর্ধ্ব মূল্যমানের নোটের ওপর নিরাপত্তা সুতো সেলাইয়ের মতো ফোঁড়া থাকে। এছাড়া, আলোর বিপরীতে ধরলের বাঘের মাথার জলছাপ স্পষ্ট দেখা যায়। জাল নোটের সুতা বা জলছাপ এত সূক্ষ্ম থাকে না।
৩. আসল নোটে রং পরিবর্তনশীল কালি ব্যবহার করা হয়। ২০০০ সাল থেকে মুদ্রিত ৫০০ টাকার নোটের সামনের পিঠের ওপরের বাঁ দিকের কোণার ওপরের অংশ নাড়াচাড়া করলে রং পরিবর্তন হতে থাকে। সবুজ থেকে সোনালী আবার সবুজ হতে থকে। জাল নোটে এই রং পরিবর্তন হয় না।
ব্যাংগুলোকেও বলা হয়েছে- গ্রাহকদের কাছে থেকে টাকা নেওয়া এবং দেওয়ার আগে ভালো করে নোটগুলো পরীক্ষা করতে হবে।
নির্দেশ দেওয়া হয়েছে যেন এটিএম মেশিনে টাকা ঢোকানোর আগে জাল নোট শনাক্তকারী মেশিন দিয়ে নোটগুলো অবশ্যই পরীক্ষা করা হয়। ব্যাংকের শাখাগুলোতে টিভি মনিটরে জাল নোট শনাক্তকরণ সম্পর্কে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তৈরি ভিডিও প্রদর্শন করারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
আরো কিছু বিষয় রয়েছে যা জানা থাকলে চিনতে পারবেন জালনোট।
আসুন জেনে নেই জাল নোট চেনার সহজ উপায়-
জাল নোটগুলো নতুন হবে
জাল টাকার নোটগুলো সাধারণত নতুন হয়। কারণ জাল নোটগুলো সাধরণত কাগজের তৈরি, তাই পুরাতন হয়ে গেলে সেই নোটগুলো নাজেহাল হয়ে যায় বা তা অতি সহজেই বুঝা যায়।
ঝাপসা দেখায় জাল নোট আসলের মতো ঝকঝকে থাকে না, দেখতে ঝাপসা দেখায়। টাকা লেনদেন করার সময় একটু মনযোগ সহকারে দেখলেই বোঝা যায় ।
কাগজের মতো ভাঁজ হয়
জাল নোট কাগজের মতো ভাঁজ হয়। হাতের মধ্যে নিয়ে মুষ্টিবদ্ধ করে কিছুক্ষণ পর ছেড়ে দিলে ভাঁজ পরে যায়। আর আসল নোট ভাঁজ হবে না।
বাংলাদেশ ব্যাংক
নোট সোজা করে ধরুন, এবার লক্ষ্য করুন নোটের বাম পাশে উপর থেকে নিচ পর্যন্ত একটি সরল রেখা আছে। একটু ভালোভাবে লক্ষ্য করলে দেখতে পারবেন ওটা কোনো রেখা নয়। সেখানে স্পষ্টভাবে ইংরেজিতে বাংলাদেশ ব্যাংক কথাটা লেখা আছে।
ভাজ করলেও সহজে ভাঙে না
আসল টাকা সবসময় দুটি অংশ দিয়ে তৈরি হয়। টাকার দুই পাশে দুটো নোট জোড়া লাগানো থাকে এবং এটা হরিণের চামড়া দিয়ে তৈরি বলে পানিতে ভেজালেও খুব তাড়াতাড়ি ভেঙে যাবে না। আর জাল নোট পানিতে ভেজানোর সঙ্গে সঙ্গেই তা ভেঙে যাবে।
আসল নোট সবসময় খসখসে
আসল টাকার নোট সব সময় খসখসে হয়। আর জাল নোট মসৃণ হয়।
আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট
জাল টাকা শনাক্তের অন্যতম উপায় হচ্ছে আল্ট্রা ভায়োলেট লাইট । এই লাইটের মাধ্যমে শনাক্ত করা খুবই সহজ। আসল নোটে এই লাইটের আলো ধরলে নোটের ওপর রেডিয়ামের প্রলেপ জ্বলজ্বল করে উঠবে। জাল নোটে তা হয় না।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৬ জুন ২০১৮, ৭:৪২ অপরাহ্ণ ৭:৪২ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…