চাকরি

জামায়াত নেতার সাথে হিন্দু নারীর পরকিয়া, অতঃপর...

এক হিন্দু নারীর সঙ্গে পরকীয়া সম্পর্কের জের ধরে অবৈধ মেলামেশা করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সাবেক কোষাধ্যাক্ষ শওকত হোসেন (৪৫)। ঘটনাটি হাতেনাতে ধরে ফেলেন ওই জামায়াত নেতার স্ত্রী রূপসানা আক্তার ও কলেজপড়ুয়া মেয়ে ফাতেমা বেগম। গত বৃহস্পতিবার রাত ৯টার দিকে ফরিদপুরের চরভদ্রাসন উপজেলায় এ ঘটনার পর ওই জামায়াত নেতা পালিয়ে যান। তিনি উপজেলার সদর ইউনিয়নের বিএস ডাঙ্গী গ্রামের মৃত শেখ বছির উদ্দিনের ছেলে।

পরিবার সূত্র জানায়, ওই জামায়াত নেতা শওকত হোসেন ঘটনার রাতে তারাবি নামাজের অজুহাতে বাড়ি থেকে বের হন। পরে মোটরসাইকেলে এক হিন্দু বিধবা নারীকে নিয়ে পার্শ্ববর্তী লোহারটেক গ্রামের জয়নাল সর্দারের বাড়ির একটি খালি ঘরে ঢুকে মেলামেশা করতে থাকেন। এ সময় পাশের বাড়ির এক গৃহবধূ বিষয়টি বুঝতে পেরে জামায়াত নেতার স্ত্রীকে ফোনে এসব কথা জানায়। পরে স্ত্রী ও মেয়ে এসে তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলেন।

শুক্রবার ওই জামায়াত নেতার স্ত্রী রূপসানা আক্তার তার স্বামীর বিভিন্ন কুকীর্তি ও একাধিক পরকীয়া সম্পর্কের ঘটনা উল্লেখ করে উপজেলা নির্বাহী অফিসারসহ ইউপি চেয়ারম্যানের কাছে লিখিত অভিযোগ করেছেন।

এতে চরভদ্রাসন ইউনিয়ন পরিষদের গ্রামপুলিশরা দিনভর তল্লাশি করে শওকত হোসেনকে খুঁজে পায়নি। পরে উপজেলা সদর বাজারের বাসস্ট্যান্ডসংলগ্ন হাসান ট্রেডার্স নামক উক্ত জামায়াত নেতার রড, সিমেন্ট ও ঢেউটিনসহ তিনটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছেন ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাদ খান। এ ব্যাপারে চরভদ্রাসন থানার ওসি রাম প্রসাদ ভক্ত জানান, আমার কাছে এখনো কেউ কোনো অভিযোগ করে নাই। অভিযোগ দায়ের করলে আমি মামলা নিয়ে নেব।

ইউপি চেয়ারম্যান মো. আজাত খান জানান, শওকত হোসেনের বড় ভাই শেখ আবুল কালাম, স্ত্রী রূপসানা আক্তার ও তার মেয়ে ফরিদপুর রাজন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী ফাতেমা বেগম ও এলাকার কিছু লোক ওই বিধবাকে নিয়ে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে তার বাড়িতে গিয়ে বিচার দাবি করে। পরে ওই হিন্দু বিধবা নারী জিজ্ঞাসাবাদে জানায়, গত দুই বছর ধরে শওকত হোসেনের সঙ্গে তার অবৈধ সম্পর্ক রয়েছে।

শুক্রবার ওই জামায়াত নেতার বড় ভাই শেখ আবুল কালাম (৬০) জানান, তার ছোট ভাই শওকত একই রকম পরকীয়া সম্পর্কের বহু ঘটনা আমাদের সামাল দিতে হয়েছে। তার একের পর এক অপকর্মে পুরো পরিবারসহ আমরা সবাই অতিষ্ঠ হয়ে উঠেছি। শওকতের সংসারে তিনটি মেয়ে ও একটি ছেলে রয়েছে। শওকতের সব স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তিগুলো তার সন্তানদের নামে দিয়ে দিতে পারলে আমরা দায়িত্ব থেকে মুক্তি পেতাম।

ওই জামায়াত নেতার স্ত্রী রূপসানা আক্তার (৪০) বলেন, ঘটনার রাতে ফোন পেয়ে মা-মেয়ে দুজনে ছুটে গিয়ে লোহারটেক গ্রামের জয়নালের বাড়ির বাংলা ঘরে তার স্বামী ও ওই নারীকে মেলামেশা অবস্থায় ধরে ফেলি। পরে তার স্বামী মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যান। ওই বাড়ির মালিক জয়নাল সর্দারকে তার স্বামী ঘরভাড়া বাবদ মাসিক টাকা দিত বলে জানান রূপসানা আক্তার।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২ জুন ২০১৮, ৩:০০ পূর্বাহ্ণ ৩:০০ পূর্বাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ