গত চার দশক ধরে পবিত্র কাবা শরীফের মুয়াযযিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন তিনি। তার নাম আলি আহমেদ আল মুল্লা ওরফে বিলাল। বংশ পরম্পরায় সেই দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। তার বাবা, দাদা, পরদাদা সকলেই কাবা শরীফের মুয়াযযিন হিসেবে দায়িত্ব পালনের সুযোগ পেয়েছেন। কাবা শরীফের প্রথম মুয়াযযিন হযরত বেলাল (রা.) এর নামানুসারে তার ডাক নাম রাখা হয় বিলাল।
কাবা শরীফের মুয়াযযিন হিসেবে দায়িত্বপালনকারী পরিবারে ১৯৪৫ সালে মক্কায় জন্ম হয় বিলালের। ১৯৭৫ সালে সরকারিভাবে নিয়োগ পান তিনি। তার চাচাতো ভাই শেখ আবদুল মালেক আল মুল্লা তার আগে সেই দায়িত্ব পালন করেছেন। তিনি না ফেরার দেশে চলে যাওয়ার পর দায়িত্ব পান বিলাল। তিনি বলেন, যখন আমার বাবা আমাকে জানালেন যে, আমি পবিত্র কাবা শরীফের মুয়াযযিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করতে যাচ্ছি, আমি ভীষণ খুশি হয়েছিলাম। সেই খবর শুনে আমার অনেক বন্ধুবান্ধবও স্বাগত জানিয়েছে আমাকে।
স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, দেশের সরকারি হাসপাতালে প্রসবের হার ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ। অথচ বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ৭০ থেকে ৮০ শতাংশ প্রসব সিজারের মাধ্যমে করা হয়। এতে সিজারিয়ান মায়েদের অনেক ক্ষতি হচ্ছে। নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। তিনি হুঁশিয়ারি উচ্চারন করে বলেন, অপ্রয়োজনীয় সিজার করলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হবে, প্রয়োজনে হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়া হবে।
রবিবার (২৭ মে) সচিবালয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনকক্ষে ‘নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস’ উপলক্ষে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রী। জাহিদ মালেক বলেন, আমাদের দেশে সিজারের হার অনেক বেড়ে গেছে। দেশে প্রাতিষ্ঠানিক প্রসবের হার ৪২ শতাংশ। বাকি ৬৮ শতাংশ প্রসব বাসাবাড়িতে অদক্ষ দাইদের মাধ্যমে হয়।
তিনি বলেন, বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থার পরামর্শ, সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব প্রতি হাজারে ১৫-২০ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে। অকারণে সিজার কমাতে আমরা একটি ফর্ম তৈরি করে বেসরকারি হাসপাতাল ও ক্লিনিকগুলোতে পাঠিয়েছি। এই ফরমটি আমাদের কাছে এলে তা দেখার পর বোঝা যাবে অপারেশনটি প্রয়োজন ছিল কিনা।
চিকিৎসকদের ধৈর্য্য ধরার আহ্বান জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, প্রসবের ব্যাপারে চিকিৎসকরা সময় দিতে চান না। চিকিৎসকের মাধ্যমে করাতে গেলেই তারা সিজারে চলে যান। বিশ্বব্যাপী প্রসবগুলো মিডওয়াইফরাই করে থাকেন। এজন্য আমরা্ও সিজারের মাধ্যমে বাচ্চা প্রসব কমাতে মিডওয়াইফ তৈরির ওপর জোর দিয়েছি। এ লক্ষ্যে ৩৪ হাজার মিডওয়াইফকে প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আরো ১৫ হাজার নার্স নিয়োগ দেয়া হচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মা ও শিশুর অপুষ্টিতে ভোগা, বাল্য বিবাহ ও গর্ভাবস্থায় পরিচর্যার অভাবে মাতৃ ও শিশু মৃত্যুর হার বাড়ছে। দেশে এখন মাতৃ মৃত্যুর হার প্রতি লাখে ১৭৬ জন এবং শিশু মৃত্যুর হার প্রতি হাজারে ২১ জন। যা এসডিজি অর্জনের জন্য বাঁধা হয়ে দাড়িয়েছে। তাই মাতৃ মৃত্যুর হার ৭০ এবং শিশু মৃত্যুর হার ১২ তে নামিয়ে আনার চেষ্টা করছে সরকার।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৯ মে ২০১৮, ১২:২৪ অপরাহ্ণ ১২:২৪ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…