মেয়ে পূজাকে কেন বিয়ে করতে চেয়েছিলেন মহেশ?

বলিউড চলচ্চিত্র পরিচালক-প্রযোজক মহেশ ভাট সিনেমাতে বিভিন্ন সময়ে নানা কারণে বিতর্কের ঝড় তুলেছে। শুধু সিনেমায় নয়, ব্যক্তিগত জীবনেও তিনি ব্যতিক্রমী একজন মানুষ।

একটি নামকরা ম্যাগাজিনের কাভার শুটের জন্য নিজের মেয়ে পূজা ভাটের ঠোঁটে ঠোঁট রেখে চুমু খেতে দেখা যায় মহেশকে। আর তখনই মহেশ ভাটকে নিয়ে বিতর্ক তুঙ্গে ওঠে। নিবিড়ভাবে চুম্বনরত বাবা-মেয়ের এই ছবি পত্রিকার প্রচ্ছদে প্রকাশিত হতেই চারদিকে আলোড়ন শুরু হয়। বহু গণসংগঠন বাবা-মেয়ের এ আচরণকে ‘অশ্লীলতা’ বলে দাবি করে বিক্ষোভ শুরু করেন।

এখানেই বাবা-মেয়ের (পূজা-মহেশ) বিতর্ক থেমে থামেনি। এই ছবি প্রকাশ হওয়ার কিছু দিন পর একটি গণমাধ্যমে সাক্ষাৎকার দিতে গিয়ে মহেশ বলেন, ‘আমি পূজাকে বিয়ে করতে চাই। ও যদি আমার মেয়ে না হতো, তা হলে আমি সত্যিই ওকে বিয়ে করতাম।’ মহেশের মুখে এ মন্তব্যে বিতর্কের ঝড় আরো বেড়ে ওঠে।

মহেশ ভাট জীবনে বহু নারীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়েছেন। শোনা যায়, কলেজ জীবনে লোরিয়েন ব্রাইট নামে এক নারীর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠে মহেশের। পরবর্তীকালে মহেশ ভাট ওই নারীর নাম পরিবর্তন করে রাখেন কিরণ। এই কিরণ-মহেশের সন্তানই পূজা ভাট এবং রাহুল ভাটের মা।

কিরণের সঙ্গে বিবাহিত জীবনযাপনের সময়েই অভিনেত্রী পারভিন বাবির সঙ্গে প্রেম সম্পর্ক শুরু হয় মহেশের। এ কারণে কিরণের কাছ থেকে দূরে সরে আসেন মহেশ ভাট। কিন্তু পারভিনের সঙ্গে মহেশের সম্পর্কও দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। অভিনেত্রী পারভিন আর মহেশের মধ্যেও এক সময় দূরত্ব তৈরি হয়।

এরপর সোনি রাজদানের সঙ্গে সম্পর্কে জড়ান মহেশ। জন্মগতভাবে হিন্দু হলেও সোনিকে বিয়ে করবেন বলে ইসলামধর্মে দীক্ষিত হন তিনি। সোনি রাজদানেরই মেয়ে হলো- আলিয়া ভাট ও শাহিন ভাট।