এক্ষুনি জেনে, নয়তো আপনিও হতে পারেন প্রতারণার শিকার!

গোদাগাড়ী প্রতিনিধি:

কিছুদিন থেকেই রাজশাহীর গোদাগাড়ীতে কিছু ঘটনায় কয়েকজন ব্যক্তি প্রতারকের ফাঁদে পা দিয়ে প্রায় লক্ষ টাকা খুইয়েছেন। তারা উপজেলার পৌর সদরে বসবাসরত কিছু সাধারণ মহিলা। এই ঘটনাটি তুলে ধরার উদ্দেশ্য হচ্ছে এই ঘটনা পড়ার মাধ্যমে অন্যরা যেন সচেতন হয়, এমন প্রতারণার ফাঁদে পড়ে নিঃস্ব না হয়ে যায়।

প্রথমে ঘটনাটি ঘটে উপজেলার পৌর সদরের বুজরুক পাড়ায় । ঘটনার প্রায় ১৫-২০ দিন আগে এক প্রতারক মহিলা এসে বুজরুকপাড়া গ্রামে টগরী বেগমের সঙ্গে পরিচিত হয়ে কিছু স্বর্ণ অলংকার রেখে টাকা নেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। এরপর বিভিন্ন সময়ে সেই প্রতারক টগরীর সঙ্গে দেখা করে কথা বলে ধীরে ধীরে বিশ্বস্ততা অর্জন করেন।

এর মাঝে সেই প্রতারক টগরী বেগমকে জানান, তার কাছে কিছু স্বর্ণ অলংকার আছে। কিন্তু সেগুলো তিনি বিক্রি করতে পাররবে না। কারণ স্বর্ণ গুলো তার স্বামীর বিপদের কথা বলে অল্প টাকার বিনিময়ে বন্ধক রাখার কথা বলে।

তাই তিনি টগরী বেগমের সহযোগিতা চেয়ে বলেন স্বর্ণ গুলো রেখে যেন তা একটা ব্যবস্থা করে দেন। সরল মনে টগরী স্বর্ণকারের কাছে গিয়ে স্বর্ণ অলংকার গুলো যাচাই করে তাকে ৮ হাজার টাকা ধার দেন।

বলে রাখা ভালো, টগরী বেগম কথা বার্তায় বুঝা গেছে তিনিও সুদের এর ব্যবসার সঙ্গে জড়িত। তাই কিছু লাভের আশায় এবং খুব সহজেই নির্ধারিত দিনে এবং সময়ে বেশী দামের স্বর্ণ কম টাকাতে পাওয়ার আশায় ৮ হাজার টাকা ম্যানেজ করলেন। সেই প্রতারক ধীরে ধীরে আরও কয়েকজন প্রতিবেশীদের লোভ দেখিয়ে প্রতারনার ফাদে ফেলে। এরকম ঐ গ্রামের ইউনুস আলীর স্ত্রী লাল বানু ১২ হাজার এসলাম আলীর স্ত্রী সুফিয়া ৮ হাজার রামনাগর গ্রামের আব্দুল বাসিরের মেয়ে আক্তারার ৮ হাজার টাকাসহ হাটপাড়া গ্রামের বিভিন্ন জনের কাছে সব মিলিয়ে এক লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়েছে।

প্রতারণার শিকার লালবানু জানান সবার দেখাদেখি আমিও টাকা দিয়েছি এই প্রতারক মহিলাকে। তিনি আরও বলেল,কয়েকদিন আগে এই অপরিচিত মহিলা আমার বাড়ীতে এসে বলে আমার স্বামীর অসুখ কিছু টাকার প্রয়োজন তাই আমার দুটো কানের স্বর্ণ অলংকার রেখে আমাকে ১৫ হাজার টাকা দেন। সে শর্ত অনুযায়ী দুটো স্বর্ণ অলংকার নিয়ে প্রতারককে সঙ্গে নিয়ে জুয়েলার্সের দোকানে যায় এবং স্বর্ণ অলংকার যাচাই করে দাম আসে ১৫ হাজার টাকা। প্রতারকের সাথে দামে দরে না হওয়ার দোকান থেকে ফেরার পথে স্বর্ণ অলংকার দুটো প্রতারকের হাতে দিয়ে দেই। এবং কিছুক্ষণ পর প্রতারক আমার বাড়িতে হাজির হয় । তারপর প্রতারক মহিলা ১২ হাজার টাকায় রাজি হয়ে হুবহু পূর্বের মত দেখতেই নকল স্বর্ণ অলংকার দিয়ে যায়। পরে বাজারে বিক্রয় করার জন্য গেলে সে স্বর্ণ অলংকার নকল বলে জানা যায়। তখন আমার মাথায় হাত, আমি কি করবো বুঝতে পারছিলাম না।

২১ শে মে (সোমবার) দুপুরে একই কায়দায় পাশের আরেক প্রতিবেশীকে ঠকাতে আসলে প্রতারক মহিলা ধরা পড়ে যায়। পরে চিৎকার শুনে এলাকাবাসীরা জমা হয়ে গেলে অন্য এলাকার প্রতারনার শিকার হওয়া অন্য মহিলারা পুলিশে দেব বলে নিয়ে যায় প্রতারককে । কিন্তু এক পর্যায়ে প্রতারক মহিলা পালিয়ে যায়। এদের একটি বড় চক্র আছে বলে মনে করেন এলাকাবাসী। কিন্তু এই প্রতারক চক্র আর কত সরল মহিলার কষ্ট উপার্জিত টাকা আত্যসাদ করবে। প্রসাশনের সু -নজর ও সচেতনতামূলক প্রচার বৃদ্ধি করা দরকার।

এ বিষয়ে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি তদন্ত) আলতাফ হোসেন বলেন, এমন প্রতারণার কথা আমরা শুনিনি তবে অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবো

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২১ মে ২০১৮, ৫:৪৬ অপরাহ্ণ ৫:৪৬ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ