হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

সন্তান প্রসব করলেন – গর্ভাবস্থা এবং প্রসবের সময়টি মা এবং তার পরিবারের জন্য সুখী এবং সবচেয়ে পরিপূরক মুহূর্ত হয়।প্রাচীনকালে, ধাত্রীরা প্রসবের সময় গর্ভবতী মহিলাদের সহায়তা করত, অন্যদিকে অন্যরা বাইরে অপেক্ষা করত।

সময় এখন পরিবর্তিত হয়েছে। এটি ব্যক্তিগত ব্যাপার থেকে এখন এটি প্রাক গর্ভাবস্থা এবং পোস্ট গর্ভাবস্থার ফোটোগ্রাফি প্রবণতায় রূপান্তরিত হয়েছে ।

কিন্তু আপনি কি কখনও কোন নারীর প্রসব করা দেখেছেন ?

যদি না দেখে থাকেন, তাহলে আপনি হাসপাতালে গন্তব্যের পথে অপ্রত্যাশিতভাবে একটি নারীর জন্ম দেওয়ার এই অসাধারণ ছবি দেখতে পারেন। মা ‘জেস হোগান’ আগেই বুঝতে পেরেছিলেন যে তার শিশু পৃথিবীতে আগে চলে আসছে।

এই ফটোগ্রাফগুলি ম্যানহাটানের ফটোগ্রাফার ‘ট্যামি কারিনে’র লিটল লিপিং ফটোগ্রাফির মালিকানাধীন। যখন আমরা ট্রযামি কাছে পৌঁছলাম, তখন তিনি প্রকাশ করলেন কিভাবে তিনি দুঃখ প্রকাশ করতেন যদি তিনি এই মুহূর্তকে মিস করতেন।

কানসাসে বসবাসকারী মা, জেস হোগান একদিন বুঝতে পেরেছিল যে তার শিশু পৃথিবীতে আসতে চলেছে।
হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

তার স্বামী ট্রাভিস ছুটে গেছিলো কিন্তু মা’র হাসপাতালে প্রবেশের সঙ্গেই তার শিশু বেরতে শুরু করে। এটি একটি কঠিন সময় ছিল, যেকোন সময় কোন দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারত। ভগবানকে ধন্যবাদ সেরম কিছু হয়নি।

হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

তারপর জেস সময় নষ্ট না ক তার প্যান্ট খোলা শুরু করেন কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে তার শরীরে শিশু বেরনোর জন্যে ধাক্কা দিচ্ছে। এটা উপযুক্ত কাজ করেছে জেস। তার উপস্থিত বুদ্ধির প্রশংসা করা উচিত। এটা না করলে বড় কোন বিপদ ঘটে যেতে পারত।
হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

ফটোগ্রাফার ট্যামি কারিন বলেন, “আমি খুব হতাশ হতাম যদি আমি এটা মিস করতাম ।” তার মতে সেদিন যদি তিনি সেখানে উপস্থিত না হতেন তাহলে সারা জীবন তাকে হতাশ হতে হতো। এটা কত সুন্দর মুহূর্ত সেটা বলে বোঝানো যাবে না। একজন ফটোগ্রাফারের কাছে এইরম সুন্দর মুহূর্ত সবসময় আসে না ।

হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

ক্ষমতাশালী মাকে সাহায্য করার জন্য নার্সরা দৌড়াচ্ছিল। হাসপাতালের নার্সরা অত্যন্ত যত্নশীল, তারা দায়িত্বের সঙ্গে সবকিছু পালন করেছে। এই কর্মপরায়ণ নার্সদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত।

হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

এটা চরম বিশৃঙ্খলা ছিল যতক্ষণ না পর্যন্ত ছোট শিশুকে সফলভাবে হাসপাতালের হল পথের মধ্যে বের করা হয়। কারন এরম আগে খুব কম ঘটেছে। কিন্তু জেসের বুদ্ধি ও নার্সদের সহযোগিতায় শিশু কে সফলভাবে বের করে আনা সম্ভব হয়। এটা অত্যন্ত কঠিন এক কাজ ।
হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

ভাবনা পরিকল্পিত ভাবে হয়নি কিন্তু ফটোগ্রাফার ট্যামি এটি ক্যাপচার করেছেন সুন্দরভাবে । তিনি সেই সময় যা তুলতে পেরেছেন তাই তুলেছেন এবং সেটি কত সুন্দর তা ছবিগুলি দেখেই বোঝা যাচ্ছে । ফটোগ্রাফার ট্যামি প্রশংসার প্রাপ্য।

হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

যাইহোক, সবচেয়ে ভাল মুহূর্ত হল মা যখন প্রথমবারের জন্যে তার বাচ্চাকে ধরে। এর চেয়ে খুশির মুহূর্ত আর কিছু হয় বলে আমি মনে করি না।
হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

নবজাতকের বাবা-মা হাসপাতালের কর্মচারীদের প্রতি কৃতজ্ঞ ছিলেন, যাদের জন্যে শিশু নিরাপদে জন্মগ্রহণ করেছে। কারন এইরকম পরিস্থিতিতে হাসপাতালের কর্মচারীরা যেভাবে সাহায্য করেছে তার তুলনা হয় না। তাদের স্যালুট জানাই। তারা এইভাবে সবাইকে সাহায্য করে যাক এই আসা রাখি।

হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

জীবনে ভালোর পাশাপাশি খারাপ সময়ও আছে, কিন্তু অভিভাবকত্ব এমন কিছু বিষয় যা আনন্দময় সকল মুহুর্তে পরিণত হয়। এটি সবসময় মনে খুশি নিয়ে আসে।

ম্যাক্স কে দেখুন !

হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

কি সুন্দর মিষ্টি এক শিশু। দেখলেই আদর করতে মন চায়। ফটোগ্রাফার ট্যামি কারিনের দ্বারা সমগ্র অলৌকিক ঘটনাটি ক্যাপচার করা হয়েছিল।
হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

ফটোগ্রাফার ট্যামি কারিন তার হাতের যাদু দেখিয়েছেন এই ছবিগুলি তোলার সময়। এই অলৌকিক ঘটনাটি ক্যাপচার করা সত্যি খুবই কঠিন এক কাজ ছিল। কিন্তু তিনি অত্যন্ত দক্ষতার সাথে তার কাজটি করেছেন।

হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

এটি একটি অবিস্মরণীয় মুহূর্ত, যেকোনো সময় কিছু হয়ে যেতে পারত। কিন্তু ভগবানের আশীর্বাদে সবকিছুই ভালো হয়েছে। বাবা মা চিরকাল এটি মনে রাখবে এই মুহূর্তটাকে, যা কখনো ভোলার না।

হাসপাতালের বেডে যাওয়ার আগেই সন্তান প্রসব করলেন এই মহিলা!

নবজাতক এবং তার পিতা-মাতাকে শুভেচ্ছা জানাই। অভিনন্দন ম্যাক্স। এইটাই ছিল আজকের মতো।