কোমড়ে পিস্তলের কাভার ও হ্যান্ডকাফ। হাতে ওয়াকিটকি। সাথে এক সহযোগী নিয়ে চলছে চেকপোস্ট। বিভিন্ন অভিযোগে অনেককে আটকও করা হচ্ছে। পরে থানায় নিয়ে যাওয়ার নাম করে গাড়িতে বিভিন্ন এলাকা ঘুরিয়ে ভুক্তভোগীর পরিবারের কাছ থেকে বিকাশের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে মোটা অঙ্কের টাকা।
ইয়াবা নেশার জন্য টাকা জোগাড় করতে বিভিন্ন সময় ডিবি, পুলিশ বা ট্রাফিক সার্জেন্ট সেজে এভাবেই সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করতেন মাসুদ রানা ওরফে বিশাল (৪৮)। কিন্তু তার সেই মুখোশ এবার উন্মোচিত হলো।
বেশ কিছুদিন চেষ্টার পর তাকে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। সোমবার ভোর ৫টার দিকে রাজধানীর শ্যামলী মোড় থেকে বিশালকে আটক করে আদাবর থানা পুলিশ।
আদাবর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ শাহিনুর রহমান শাহিন বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘২০০৭ সালে সেনাবাহিনীর সার্জেন্ট পদ থেকে অবসরে যান বিশাল। পরে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে সিকিউরিটি ইনচার্জ হিসেবে চাকরি নেন।
পরিবার সংসার নিয়ে খুবই ভালো চলছিল। কিন্তু ইয়াবায় আসক্ত হয়ে জড়িয়ে পড়েন বিভিন্ন অপরাধে। শুরু হয় মানুষের সঙ্গে একের পর এক প্রতারণা।’
ওসি বলেন, ‘শ্যামলী থেকে ভোরে তাকে আটক করা হলেও তার সহযোগীরা পালিয়ে যায়। ভুয়া পুলিশের পরিচয়ধারী মাসুদ রানা বিভিন্ন সময় মানুষকে আটক করত এবং টাকার বিনিময়ে তাদের ছেড়ে দিত বলে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে।’
তার গ্রামের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালী বাটিকামারা এলাকায়। তার বাবার নাম মৃত এছাহাক আলী।
ওসি আরও জানান, তিনি কোম্পানিতে চাকরিরত অবস্থায় আরও একটা বিয়ে করে। দুই বউ আর পাঁচ ছেলে মেয়ে নিয়ে ভালোই সংসার চলছিল। হঠাৎ করে ইয়াবায় আসক্ত হয়ে পড়েন।
ইয়াবা নিয়মিত সেবন করার ফলে চাকরিটাও চলে যায়। দুই স্ত্রী ও ছেলে মেয়ে তার সাথে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেয়। ইয়াবার টাকা জোগাড় করার জন্য সে এই অভিনব পথ বেছে নেন।
আটকের সময় তার কাছে একটা ওয়াকিটকি সেট, হ্যান্ডকাফ পিস্তলের কভার ও ছুরি উদ্ধার করা হয়। সে বিভিন্ন সময় তার সহযোগীদের নিয়ে রাস্তায় পুলিশ সেজে চেকপোস্ট বসানোর নাম করে পথচারীদের হয়রানি করতো।
যার কাছে যা পেত তাই নিয়ে মানুষকে ছেড়ে দিত। যদি কোনও সময় কারও কাছে কিছু না পাওয়া গেলে তাকে ধরে গাড়িতে তুলে ঘুরাতে থাকে এবং আত্মীয়-স্বজনদের ফোন দিয়ে বিকাশের মাধ্যমে টাকা এনে তারপর ছেড়ে দিত। এইভাবে প্রতারণার মাধ্যমে সে দীর্ঘদিন যাবত ঢাকা শহরের বিভিন্ন এলাকায় মানুষকে হয়রানি করে আসছিলো বলে জানা গেছে।
ওসি জানান, আটককৃতের বিরুদ্ধে মামলার মামলার প্রস্তুতি চলছে। সাথে তার চক্রের বাকি সদস্যদের আটকে অভিযান চলছে।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ৩০ এপ্রিল ২০১৮, ১:০৭ অপরাহ্ণ ১:০৭ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…