ফের তাবলিগ জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। শনিবার সকালে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদে এই ঘটনার পর অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। দুই পক্ষকে বের করে দিয়ে মসজিদ ফাঁকা করেছে পুলিশ। শনিবার (২৮ এপ্রিল) সকালে কাকরাইলে তাবলীগ জামাতের সাদপন্থী ও হেফাজতপন্থীদের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এরপর সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। দুই পক্ষকেই পুলিশ মসজিদ থেকে বের করে দেয়।
গত বিশ্ব ইজতেমার আগে থেকেই বিভিন্ন বিষয়ে নিয়ে মতবিরোধ চলে আসছিল তাবলিগ-জামাতের দুই গ্রুপের মধ্যে। বিশ্ব ইজতেমার সময় তাবলিগ-জামাতের দিল্লির মারকাজের মুরব্বি মাওলানা সা’দকে ঘিরে দুই পক্ষের মধ্যে সংকট আরও ঘনিভূত হয়। সা’দের বক্তব্য নিয়ে দুই পক্ষ অন্তত চারবার সংঘর্ষে জড়িয়েছে। বিষয়টি নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল মন্ত্রণালয়ে কয়েকবার বৈঠকও করেছেন। এরপরও দুই পক্ষকে সমঝোতায় আনা সম্ভব হয়নি। এর আগেও তাবলিগ-জামাতের বিরোধ নিয়ে এই দুই পক্ষের মধ্যে মামলা-পাল্টা মামলা হয়েছে।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার থেকে দুই গ্রুপের মধ্যে উত্তেজনা তৈরি হয়। শনিবার সকালে ফের কাকরাইল মসজিদের সামনে অবস্থান নেন হেফাজতপন্থীরা। এসময় সা’দপন্থীদের বিরুদ্ধে তারা স্লোগান দিতে থাকেন। সা’দপন্থীর অনুসারি জাকারিয়া নামে একজনকে মারধর করা হয়। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যার পর মসজিদ থেকে জ্যামার উদ্ধার করা হয়।
কাকরাইল মসজিদে তাবলিগ-জামাতের দুই গ্রুপে সংঘর্ষ
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের অতিরিক্ত কমিশনার (এডিসি) এইচ এম আজিমুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ‘কাকরাইল মসজিদ থেকে দুই গ্রুপকেই বের করে দেওয়া হয়েছে। মাওলানা সাদ বিরোধী ও সাদপন্থীদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটেছে। আমরা তাদেরে উভয়পক্ষকে শান্ত থাকার অনুরোধ করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘শৃঙ্খলাবিরোধী কর্মকাণ্ড ও মসজিদের পরিবেশ রক্ষায় তাদের বের করে দেওয়া হয়েছে। দুই গ্রুপকে নিয়ে সমঝোতার জন্য বসবে পুলিশ।’
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৮ এপ্রিল ২০১৮, ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ ৮:১৬ পূর্বাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…