নারীদের সঙ্গে দু’চার কথা বলেই ভাব জমাতে পারেন ‘আদম নানা’!

প্রেমের জালে ধরা পড়ার পর বেরিয়ে আসছে মফিজ মিয়ার (৫৫) নানা কু-কীর্তি। এই আদম ব্যবসায়ী এলাকায় ‘সৌদি নানা’ নামে পরিচিত। জোসনা নামের এক তরুণী শনিবার নারায়ণগঞ্জের কাঁচপুর এলাকা থেকে তাকে ধরে পুলিশে দেন।মফিজ মিয়া কুমিল্লার হোমনার আলীপুর গ্রামের কেরামত মিয়ার ছেলে। আর জোসনার বাড়ি নরসিংদীর বেলাবোতে।

বড় বোন ফরিদাকে সৌদি আরবে পাঠানোর কথা বলে মফিজ ১ লাখ ৮০ হাজার টাকা ও পাসপোর্ট নেন। এরপর দু’বছর কেটে গেলেও তাকে সৌদি আরব পাঠাননি, টাকাও ফেরত দেননি। বড় বোনের টাকা উদ্ধার ও প্রতারণার প্রতিশোধ নিতে জোসনা মফিজ মিয়ার সঙ্গে প্রেমের নাটক করেন।

শ্যামলা বর্ণের মফিজ গোছাল। চলন-বলনে ছিমছাম। পড়াশোনা তেমন করেননি। তবে ৫৫ বছর বয়সেও প্রযুক্তিতে সিদ্ধহস্ত। সমানে ফেসবুক, টুইটার, ইমু, ভাইবার ব্যবহার করতে পারেন। এসবের সঙ্গে মফিজ মিয়া আরেকটি কাজে ভীষণ পারদর্শী, মেয়ে পটানো। থাকেন সৌদি আরব। ঘনঘন আসেন দেশে। নারীদের সঙ্গে দু’চার কথা বলেই ভাব জমাতে পারেন তিনি। কুমিল্লার এই মফিজকে সৌদি আরব, কুমিল্লা ও নরসিংদীর মানুষেরা চেনেন ‘সৌদি নানা’ হিসেবে।

প্রেমিকা জোসনা জানান, প্রেমের সূত্র ধরে শুক্রবার মফিজ নানা তাকে বিছানায় নেয়ার প্রস্তাব দেন। সেটিকে কাজে লাগিয়েই তাকে ধরতে সমর্থ হন তিনি। তিনি আরও জানান, প্রেম চলাকালীন ইমুতে দিনের পর দিন অশ্লীল ছবি পাঠাতেন মফিজ। নিজের নানা ভঙ্গিমা ছাড়াও অনেক নারীর সঙ্গে একান্ত মেলামেশার ছবি পাঠিয়ে একই কাজে তাকে আমন্ত্রণ জানাতেন।

জোসনার ভাষ্যে, মফিজ শুক্রবার তাকে বলেন- দিনে তিনজন নারী লাগে তার। দেশে যে ক’দিন থাকেন, এতেই মেতে থাকেন। সৌদি আরবের ভিসার আশ্বাস দিয়ে নারীদের সঙ্গে তিনি সখ্যতা গড়ে তোলেন। পাসপোর্ট জমা নেয়ার পরই মফিজ তার আসল চেহারা প্রকাশ করেন। যে তার বিছানায় যেতে রাজি হন না, তাকে তিনি ভিসাও দেন না।

জোসনা বলেন, ‘মফিজ নানা যে কত নারীর সর্বনাশ করছে, তার কোনো শেষ নেই। তিনি অনেককে সৌদি আরব নিয়া বেইচা দিছে।’ জোসনার বড় বোন ফরিদা জানান, তাদের গ্রামের আরও দুই নারীর কাছ থেকে টাকা নিয়ে সর্বনাশ করেছেন মফিজ মিয়া। মফিজ অবশ্য তার বিরুদ্ধে আনা দুই বোনের সব অভিযোগ অস্বীকার করেন।

তিনি জানান, এখনঅব্দি তিনি কেবল দু’জন নারীকে সৌদি আরব পাঠাতে পেরেছেন। আর ফরিদাসহ দু’জনের পাসপোর্ট জমা নিলেও তাদের কাছ থেকে কোনো টাকা নেননি। তবে দুই নারীকে সৌদি আরবের কোথায় চাকরি দিয়েছেন, তা তিনি জানাতে পারেননি। এদিকে, টাকা উদ্ধারের জন্য ফাঁদ পেতে মফিজ মিয়াকে পুলিশে দিলেও থানায় এসে সমঝোতা করেছেন ফরিদা ও জোসনা। পুলিশের মধ্যস্ততায় টাকা পাবেন বলে তারা কোনো মামলা করেননি।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২৩ এপ্রিল ২০১৮, ১২:৪০ অপরাহ্ণ ১২:৪০ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ