উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে নারীদের ফাঁদে ফেলতো চান মিয়া!

উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে স্ত্রীকে যৌনকর্মে নিয়োজিত করায় চান মিয়া (৪২) নামে এক কবিরাজকে কুপিয়ে হত্যা করেছে জাকির হোসেন। পরে জাকির দা হাতে থানায় আত্মসমর্পণ করেছে।

বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে কিশোরগঞ্জ শহরতলীর সতাল পাক্কার মাথায় এই ঘটনা ঘটে। নিহত চাঁন মিয়া কিশোরগঞ্জ সদর উপজেলার যশোদল ইউনিয়নের আমাটি শিবপুর এলাকার মৃত আব্দুল মোতালিবের ছেলে। পেশায় কাঠমিস্ত্রী চান মিয়া এলাকায় কবিরাজ হিসেবে পরিচিত। অন্যদিকে জাকির হোসেন একই এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে।

এলাকাবাসী জানায়, কাঠমিস্ত্রি ও কবিরাজ চান মিয়া তার কাছে যাওয়া রোগী নীদের যৌন উত্তেজক ওষুধ খাইয়ে এলাকার কিছু লম্পট যুবকদের যৌন লালসা চরিতার্থ করার সুযোগ করে দিতো।

একই এলাকার জাকির হোসেনের স্ত্রীকেও একই কাজে ব্যবহার করার জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে পার্শ্ববর্তী সতাল পাক্কার মাথা এলাকায় জাকির হোসেন দা দিয়ে কুপিয়ে চান মিয়াকে মারাত্মক আহত করে।

মুমূর্ষু অবস্থায় তাকে কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পর জাকির নিজেই দা নিয়ে থানায় গেলে তাকে আটক করা হয় বলে যশোদল ইউপি চেয়াম্যান ইমতিয়াজ সুলতান রাজন জানিয়েছেন। নিহত চান মিয়ার লাশের ময়না তদন্ত শুক্রবার কিশোরগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে সম্পন্ন হয়েছে।

এদিকে এ ঘটনায় নিহতের স্ত্রী আছমা বাদী হয়ে জাকির হোসেনকে আসামি করে মামলা করেছে। তবে অন্য একটি সূত্র জানিয়েছে, আছমা ছাড়াও নিহতের জহুরা নামে আগের এক স্ত্রী রয়েছে।

ওসি আছমাকে থানায় নিয়ে তার স্বাক্ষর রেখে মামলা রেকর্ড করেছেন। পরে নিহতের বড় স্ত্রী জহুরা ও ছোট স্ত্রী আছমা মিলিতভাবে থানায় গিয়ে ঘাতক জাকির হোসেন এবং তার ভাই ও বাবাকে আসামি করে মামলা দিতে চাইলেও ওসি তাদের এজাহার রাখেননি।

তবে কিশোরগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত জানান, চার বছর আগে জাকির বিয়ে করে। বিয়ের পর থেকে তার স্ত্রী অন্য পুরুষের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক রাখতো।

কবিরাজ চাঁন মিয়া ঔষধ দিয়ে জাকিরের স্ত্রীকে অন্যদের সঙ্গে অনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের সুযোগ করে দিতো। এই কারণে কবিরাজ চাঁন মিয়ার ওপর ক্ষিপ্ত ছিল জাকির।

এর জের ধরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে বিপ্লব নামে এক সহযোগীকে নিয়ে বাড়ি ফেরার পথে কবিরাজ চাঁন মিয়ার ওপর দা নিয়ে হামলে পড়ে জাকির। ঘটনার পর পরই ঘাতক জাকিরকে ধরতে তারা একটি পুলিশের বিশেষ টিম গঠন করেন।

বিশেষ এই টিমের অভিযানে ঘটনার কিছু পরেই রাত সাড়ে ৮টার দিকে তারা ঘাতক জাকিরকে আটক করতে সক্ষম হন। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা-টিও উদ্ধার করা হয় বলে ওসি আবু শামা মো. ইকবাল হায়াত জানান।

এছাড়া মামলার ব্যাপারে ওসিকে প্রশ্ন করলে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করে জানান, ছোট স্ত্রী নিজে থেকেই এক ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা করেছেন।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ২১ এপ্রিল ২০১৮, ৩:১৯ অপরাহ্ণ ৩:১৯ অপরাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ