অপরাধ

এই ১০টি ওষুধ সবসময় আপনার বাসায় রাখবেন! বিপদ কখন আসে বলা যায় না

এই ১০টি ওষুধ – এই ১০টি ওষুধ সবসময় আপনার বাসায় রাখবেন! বিপদ কখন আসে বলা যায় না। জেনে নিন নাম ও ব্যাবহার বিধি!

১. প্যারাসিটামল (Paracetamol) ২. ট্রামাডল (Tramadol) ৩. টাইমনিয়াম মিথাইলসালফেট (Tiemonium Methylsulfate) ৪. এসোমিপ্রাযল/ ওমিপ্রাযল (Esomeprazole/omeprazole) ৫. অ্যালুমিনিয়াম হাইডঅক্সাইড (Aluminium hydroxide suspension) ৬. ওরস্যালাইন (Oral Rehydration Saline) ৭. ফেক্সোফেনাডিন/রুপাটাডিন (Fexofenadine/ Rupatadine) ৮. সিলভার সালফাডায়াযিন অয়ন্টমেন্ট (Silver sulfadiazine ointment) ৯. পোভিডন-আয়োডিন মলম (Povidone-iodine ointment) ১০. অ্যাসপিরিন (Aspirin)

প্যারাসিটামল (Paracetamol) জ্বরের জন্য প্রথমে একটি প্যারাসিটামল খেতে পারেন। জ্বর বাড়লে (<১০৩F) বা ৩ দিনের বেশি জ্বর থাকলে ডাক্তার দেখান। তবে পেটে ব্যাথা, চোখের সাদা অংশ হলুদ হয়ে যাওয়া বা জন্ডিসের অন্য কোন উপসর্গ দেখলে প্যারাসিটামল খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। ট্রামাডল (Tramadol) কোন প্রকার ঝুঁকি ছাড়াই ট্রামাডল পেইনকিলার হিসেবে নেয়া যায়; এমনকি অ্যাসমা রোগীরাও এটি নিতে পারবেন।

টাইমোনিয়াম সালফেট (Tiemonium sulphate) যেকোন প্রকার পেটে ব্যাথার ক্ষেত্রে বিশেষ করে পিরিয়ডের প্রথম কয়েক দিনের ব্যাথার জন্য এটি অত্যন্ত কার্যকর একটি ওষুধ। (আরও জানতে দেখুন কষ্টকর ঋতুস্রাব ও বাড়িতে বসে কষ্টকর স্রাবের নিরাময়)

এসোমিপ্রাযল/ওমিপ্রাযল (Esomeprazole/Omeprazole) অধিকাংশ মানুষই কোন না কোন সময় বুক জ্বলা বা গ্যাসের সমস্যায় ভুগতে হয়; বিশেষ করে ভরপেট খাওয়ার পর। এসোমিপ্রাযল/ ওমিপ্রাযল পাকস্থলীতে অ্যাসিড গঠন কমিয়ে বুক জ্বলা কমাতে সাহায্য করে।

অনেক সময় গ্যাসের জন্য অনেকটা হার্ট অ্যাটাকের মত বুকে ব্যাথা হয়, এজন্য ৩০ মিনিটের মধ্যে অবস্থার উন্নতি না হলে দ্রুত নিকটস্থ হাসপাতালের জরুরী বিভাগে যোগাযোগ করুন। (আরও জানতে দেখুন হৃদরোগের লক্ষণ এবং বুকে ব্যথা)

অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন (Aluminum hydroxide suspension) বুক জ্বলা এবং গ্যাসের সমস্যা থেকে মুক্তির জন্য ২ চামচ করে অ্যালুমিনিয়াম হাইড্রক্সাইড সাস্পেনশন খেতে পারেন। সাস্পেনশন্টি ফ্রিজে রাখতে পারবেন এবং ঠাণ্ডা খেলেই বেশি আরাম পাবেন। এর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া হিসেবে কয়েকবার পাতলা পায়খানা হতে পারে, এতে চিন্তার কিছু নেই।

ওরস্যালাইন(Oral Rehydration Saline) ডায়রিয়ার সময় খুব সহজেই শরীর থেকে অনেক পানি বেরিয়ে যায়। প্রত্যেকবার পাতলা পায়খানা হওয়ার পর স্যালাইন খাওয়া উচিত। শরীরে পানিশূন্যতা হলে নানারকম জটিলতা দেখা দিতে পারে।

অনতিবিলম্বে ডাক্তার দেখান যদি; আপনার ডায়রিয়ার সাথে জ্বরও হয়। ২ দিনের বেশি সময় ডায়রিয়া থাকে। মুখ শুকিয়ে গিয়ে পিপাসা লাগে। খুব কম অথবা একেবারেই পেশাব না হলে। প্রচণ্ড পেটে ব্যাথা হলে। পায়খানার সাথে রক্ত গেলে। আপনার উচ্চ রক্তচাপ (hypertension) থাকলে ওরস্যালাইন খাওয়ার আগে রক্তচাপ মেপে নেয়া ভাল।

ফেক্সোফেনাডিন/রুপাটিডিন (Fexofenadine/Rupatadine) এই অ্যান্টিহিস্টামিনগুলো তুলনামুলকভাবে কম ঝুঁকিপূর্ণ। যাদের অ্যালারজিক রাইনিটিস (ধুলা, পরাগ, তেলাপোকা ইত্যাদির সংস্পর্শে আসলে হাঁচি হওয়া) আছে তারা রাতে একবার ফেক্সোফেনাডিন বা রুপাটিডিন নিলে হাঁচি ও নাক থেকে পানি পড়ার উপশম হবে।

শেয়ার করুন:

এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১৮ এপ্রিল ২০১৮, ৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ ৭:৩৩ পূর্বাহ্ণ

শেয়ার করুন

সর্বশেষ সংবাদ

  • ইসলাম

ইবনে সীরীনের মতে স্বপ্নে মা হারিয়ে যাওয়ার স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী?

মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…

২০ এপ্রিল ২০২৪, ২:৪১ অপরাহ্ণ
  • স্বাস্থ্য

ঘন ঘন প্রস্রাব প্রতিকারে হোমিও চিকিৎসা

ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…

৮ এপ্রিল ২০২৪, ১২:২৮ অপরাহ্ণ
  • লাইফস্টাইল

তরমুজ খাওয়ার পর কোন ভুলে পেট ফুলে ওঠে?

বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…

৬ এপ্রিল ২০২৪, ২:১৮ অপরাহ্ণ