শৌচাগার বা ওয়াশরুমে থাকে প্রচুর রোগ জীবাণু, যা থেকে সংক্রমণ ছড়ায়। বিশেষ করে স্ট্রেপটোকক্কাস, স্ট্যাফিলোকক্কাস, ইকোলাই ও শিগেলা ব্যাকটেরিয়া থেকে শুরু করে হেপাটাইটিস ‘এ’ ভাইরাস, সাধারণ ঠাণ্ডা ভাইরাস অন্ত্রের সংক্রমণ, ফুসফুসের সংক্রমণ ও ভাইরাল সংক্রমণের কারণ হতে পারে। এর পরও বাথরুম ব্যবহারগত দিকে আমাদের কিছু বদভ্যাস রয়েছে, যাতে স্বাস্থ্যঝুঁকির সৃষ্টি হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, পরিষ্কার ওয়াশরুমেও এই ভুলগুলো করলে যে কেউ আক্রান্ত হতে পারেন ভয়ংকর কোনো রোগে। তাই প্রত্যেকেরই বদভ্যাসগুলো এড়িয়ে চলা উচিত।
আমেরিকান জার্নাল অব ইনফেকশন কন্ট্রোলের মতে, কমোডের ঢাকনা খোলা রেখে ফ্লাশ করা উচিত নয়। কারণ ঢাকনা বন্ধ না করে ফ্লাশ করার অর্থ জীবাণুকে চতুর্দিকে ছড়িয়ে পড়তে সাহায্য করা। পানি ফ্লাশ করার সঙ্গে সঙ্গে ভাইরাসের দখলে চলে আসতে পারে পুরো বাথরুম। তাই এই অভ্যাস আজই বদলান।
দাঁতের যত্নে সবাই সচেতন। অথচ ওয়াশরুমের ভেতর অনেকে টুথ ব্রাশ রাখেন। কিন্তু টয়লেটের চার ফুট দূরত্বে টুথব্রাশ থাকা উচিত। কারণ টয়লেটের ভেতর জলীয় বাষ্পের পরিমাণ সবচেয়ে বেশি। ফলে টুথ ব্রাশে ব্যাকটেরিয়ার বাসা বাঁধার আশঙ্কাও বাড়ে। ব্রাশে ঢাকনা পরিয়ে রাখলে জীবাণুর বংশবৃদ্ধির আশঙ্কা বাড়ে। এ জন্য শুকনো টুথ ব্রাশ রাখা উচিত।
অনেকেই টয়লেটের কমোডে বসে ফেসবুক, গুগল বা ইউটিউবে সময় কাটান। এটা কখনোই করা উচিত নয়। বিশেষজ্ঞদের মতে, ওয়াশরুমের পরিবেশে দ্রুত বংশ বৃদ্ধি করে ব্যাকটেরিয়া। আবার ঠিকভাবে হাত না ধুয়ে পাশে রাখা ফোন ধরলে দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে সালমোনেলা, ই কোলাই, সিগেলা ও ক্যামফাইলোব্যাকটরের মতো ব্যাকটেরিয়াগুলো।
যাঁরা ওয়াশরুমে ভেজা, স্যাঁতসেঁতে, একই তোয়ালে বারবার ব্যবহার করেন—তাদের রোগ সংক্রমণের ঝুঁকি বেশি।
অনেকে খালি পায়ে বাথরুম ব্যবহার করেন, যা মোটেও উচিত নয়। একজোড়া জুতা বা স্যান্ডেল নখে ছত্রাকের সংক্রমণ রোধসহ নানা সংক্রমণ এড়াতে সাহায্য করতে পারে।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় এপ্রিল ২৫, ২০২৩ ১:০৫ অপরাহ্ণ
যুক্তরাজ্যের ৯৫ বছর বয়সী কৃষক জেমস স্টিল তার হাতে থাকা দামি রোলেক্স ঘড়িটি হারিয়ে ভেবেছিলেন,…
হোমিওপ্যাথিক মাদার টিংচার আলফালফা (Alfalfa Mother Tincture) মূলত Medicago sativa নামক আলফালফা উদ্ভিদ থেকে তৈরি…
আমাজন রেইনফরেস্টকে সাধারণত "পৃথিবীর ফুসফুস" বলা হলেও, সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এই ধারণাটি অতিরঞ্জিত প্রমাণিত হয়েছে।…