তেলাকুচা
তেলাকুচা একটি লতানো উদ্ভিদ। তেলাকুচা ফলকে কুঁদরী বলা হয়ে থাকে। বাংলাদেশের প্রায় সর্বত্র প্রাকৃতিকভাবে তেলাকুচা জন্মে থাকে। তেলাকুচা Cucurbitaceae পরিবারভুক্ত। এর বৈজ্ঞানিক নাম Coccinia grandis। তেলাকুচার ফল অনেকটা দেখতে পটলের মত হলেও আকারে অনেক ছোট হয়ে থাকে। পাকলে সুন্দর রক্তবর্ণ ধারণ করে।
এটি গাঢ় সবুজ রঙের নরম পাতা ও কাণ্ডবিশিষ্ট একটি লতাজাতীয় বহুবর্ষজীবী উদ্ভিদ। লতার কাণ্ড থেকে আকশীর সাহায্যে অন্য গাছকে জড়িয়ে উপরে উঠে। পঞ্চভূজ আকারের পাতা গজায়, পাতা ও লতার রং সবুজ। তেলাকুচায় প্রচুর বিটা-ক্যারোটিন আছে। অনেকে একে শাক হিসেবে ব্যবহার করেন। এর ফুলগুলো সাদা।
তেলাকুচা দুই ধরনের হয়ে এক প্রকার তিতা এবং অপরটি মিষ্টি। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রমতে, তিতাটিকে তেলাকুচা এবং মিষ্টিটিকে তু-কেরী বলা হয়। ওষুধে তিতাটিই ব্যবহার করা হয়। এর সবকিছুই ব্যবহৃত হয়। তেলাকুচা নানারকম নানা রকম উপকারিতা রয়েছে চলুন দেখে নেয়া যাক:
১। অনেক সময় হঠাৎ করে আমাদের মাথা ঘুরে যায়। তখন যদি কেউ তেলাকুচা পাতার রস কপালে ও মাথায় মাখলে খুব দ্রুত মাথা ঘোরা ভালো হয়ে যায়।
২। প্রায় সময় জিভে ক্ষত দেখা যায়। তাহলে তেলাকুচা চিবিয়ে ফেলার সময় মুখে যে লালা আসে। সেই লালা যদি জিভে প্রলেপ আকারে দিলে, জিভের ক্ষত দূর হয়ে যায়।
৩। তেলাকুচা পাতার রস করে খেলে এবং তেলাকুচার পাতা বেটে সেই স্থান গুলোতে মাখলে চর্মরোগ ভালো হয়ে যায়। ৪। তেলাকুচা পাতার রস হাত পায়ে মালিশ করলে হাত -পায়ের জ্বালা কমে যাবে। ৫। তেলাকুচা পাতার রস গরম করে খেলে আমাশয় রোগ ভালো হয়।
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় জুন ৩০, ২০২১ ৫:৪০ পূর্বাহ্ণ
যুক্তরাজ্যের ৯৫ বছর বয়সী কৃষক জেমস স্টিল তার হাতে থাকা দামি রোলেক্স ঘড়িটি হারিয়ে ভেবেছিলেন,…
হোমিওপ্যাথিক মাদার টিংচার আলফালফা (Alfalfa Mother Tincture) মূলত Medicago sativa নামক আলফালফা উদ্ভিদ থেকে তৈরি…
আমাজন রেইনফরেস্টকে সাধারণত "পৃথিবীর ফুসফুস" বলা হলেও, সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় এই ধারণাটি অতিরঞ্জিত প্রমাণিত হয়েছে।…