মনে করুন, আপনি কোন বিয়েবাড়ি বা অন্য কোন উৎসব বাড়িতে গেছেন। এক সুন্দরী ললনার দিকে চোখ পড়েছে। সেও দেখছে আপনাকে। ‘চোখে চোখে চোখ পড়েছে কি বলবো মুখে, কে তোমায় সাজিয়েছে এত অপরুপে’এমন প্রশ্ন মনে উদয় হতে হতে আপনার নজর পড়ল সেই সুন্দরীর কানের দিকে।
দেখলেন তার কানের দুলটি প্রায়ই নড়েচড়ে উঠছে! ভাল করে তাকাতেই বুঝতে পারলেন সেটি আসলে একটি জ্যান্ত গুবরে পোকা! কী ভাবছেন? এর পরে আর সেই মেয়েটির প্রতি আপনার প্রেম জাগবে কি না?
তবে আমাদের দেশে যতই সেটা অস্বাভাবিক মনে হোক, দক্ষিণ আমেরিকা ও মেক্সিকোতে কিন্তু এই বিচিত্র ফ্যাশন ‘বিন্দাস’ চলছে। গত শতাব্দীর আটের দশক থেকেই চলে আসছে এই ফ্যাশন। এর নাম ‘লাইভ জুয়েলারি’। মণিমুক্তা খচিত এই পোকার গায়ে কেবল চেইন লাগিয়ে দিলেই হল।
এই ফ্যাশন অবশ্য আজকের নয়। প্রাচীন মিশরীয়দের মধ্যে এই রকম ‘জ্যান্ত গয়না’ পরার প্রচলন ছিল। মায়া সভ্যতাতেও এই রকম গয়না পরত মেয়েরা। একটা সুন্দর গল্পও আছে। মায়া সভ্যতার এক রাজকুমারী শত্রু দেশের এক রাজকুমারকে ভালবেসে ফেলেছিলেন। কিন্তু তাদের মিলন হয়নি। দুঃখে খাওয়া দাওয়া ভুলে তিনি প্রাণত্যাগ করেন।
মারা যাওয়ার পরে তিনি একটি পোকা হয়ে যান। যাতে তিনি ওই রাজকুমারের বুকের ব্রোচ হয়ে উঠতে পারেন। আসলে ওই সভ্যতায় রাজারাজরাদের মধ্যে ওই ধরনের গয়না বুকে পরার প্রচলন ছিল।
এখন অবশ্য আর ছেলেরা ওই ধরনের গয়না পরেন না। কিন্তু মেয়েরা দারুণ পছন্দ করেন। মার্কিন মুলুকে ৫০০ ডলারে বিক্রি হয় এটা। যদিও বিক্রি হওয়াটা বেআইনি। এমনিতে বহু প্রাণীপ্রেমীরা এই ধরনের অভ্যাসকে বন্ধ করার ব্যাপারে প্রচারণা করে চলেছেন।
কিন্তু এখন পর্যন্ত কোন কাজ হয়নি। সাধারণ ভাবে এই ধরনের পোকারা বছর চারেক বাঁচে। কিন্তু কানে পরার পরে কয়েক সপ্তাহের মধ্যেই মরে যায়। রত্নখচিত শরীর তাদের কাছে চরম অভিশাপ হয়ে নেমে আসে।
সে নিয়ে মাথাব্যথা নেই সেসব দেশের প্রমীলা বাহিনীর। তারা ব্যস্ত তাদের বিচিত্র শখ মেটাতে। ফ্যাশন বলে কথা!
এই পোস্টটি প্রকাশিত হয় ১০ জুলাই ২০১৮, ৪:৪০ অপরাহ্ণ ৪:৪০ অপরাহ্ণ
মা হারানোর স্বপ্নের ব্যাখ্যা কী? স্বপ্নে একজন মাকে হারিয়ে যাওয়া এমন একটি দর্শনের মধ্যে রয়েছে…
ঘন ঘন প্রস্রাব হল স্বাভাবিকের চেয়ে অতি মাত্রায় প্রস্রাবের চাপ বা প্রস্রাব করা। একজন প্রাপ্তবয়স্ক…
বাজারে এখন তরমুজের ছড়াছড়ি। গ্রীষ্মকালীন এই ফল সবারই প্রিয়। বিশেষ করে রমজানে এই ফলের কদর…