রাষ্ট্রক্ষমতায় আসার তিন বছরের মাথায় আন্তর্জাতিক রাজনীতিতে নতুন মেরুকরণের পথে তালেবান সরকার। যুক্তরাষ্ট্র এবং পশ্চিমা দেশগুলোর নানা নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে এ বছর তালেবার কূটনৈতিকভাবে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য সফলতা অর্জন করেছে।
তারই ধারাবাহিকতায় নিষিদ্ধ সন্ত্রাসী দলের তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দিয়েছে কিরগিজস্তান। সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নভুক্ত কিরগিজস্তানকে যুক্তরাষ্ট্রের মিত্র হিসেবে ভাবা হতো। কিন্তু রাশিয়া এবং চীনের দূতিয়ালিতে তালেবানকে ‘এক রকম’ স্বীকৃতি দিল কিরগিজস্তান।
অবশ্য তালেবানকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে এখনো মুখ খোলেনি কিরগিজস্তান সরকার। তবে তালেবানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই সিদ্ধান্তটিকে তাদের আঞ্চলিক কূটনীতির সাফল্য বলে ঘোষণা দিয়েছে।
বৃহস্পতিবার এক বিবৃতিতে আফগানিস্তানের পররাষ্ট্র দপ্তর জানিয়েছে, ‘অন্যান্য দেশের পদক্ষেপের সাথে সামঞ্জস্য রেখে, কিরগিজস্তানের গৃহীত পদক্ষেপটি আঞ্চলিক এবং আন্তর্জাতিক উভয় স্তরে আফগানিস্তান ইসলামী আমিরাতের প্রতি একটি ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক স্বীকৃতির সূচনা। আফগানিস্তান ইসলামী আমিরাত এবং অন্যান্য দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করার বিরুদ্ধে যে কোনও বাধা এটি দূর করবে।’
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে তালেবানের নাম সন্ত্রাসী তালিকা থেকে সরিয়ে নেয় কাজাখস্তান। অন্যদিকে মে মাসে রাশিয়া জানিয়েছে, তালেবানের সরকারকে স্বীকৃতি দেওয়া নিয়ে ভাবা হচ্ছে। এছাড়া শুরু থেকে চীন ঘনিষ্টভাবে কাজ করছে তালেবান সরকারের সঙ্গে।
এখন পর্যন্ত কোনো দেশ তালেবানকে আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকৃতি দেয়নি। তবে আফগানিস্তানের ছয়টি প্রতিবেশী দেশসহ এক ডজনেরও বেশি দেশ তালেবান কূটনীতিকদের আফগান দূতাবাস বা কনস্যুলেটের দায়িত্ব নেওয়ার অনুমতি দিয়েছে। তাদের মধ্যে, জানুয়ারিতে চীন , তারপরে কাজাখস্তান এবং গত মাসে সংযুক্ত আরব আমিরাত, এই তিনটি দেশ স্বীকৃত তালেবান দূতকে গ্রহণ করে।
এদিকে সন্ত্রাসী তালিকা থেকে তালেবানকে বাদ দেওয়ায় কিরগিজস্তানের সিদ্ধান্তকে ইতিবাচক হিসেবে দেখছে রাশিয়া। প্রতিবেশি দেশের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে এটা গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলেছেন রুশ পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ।