গোলাম রাব্বানী
ছাত্রলীগ সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী

সেই পাঠাও চালককে মোটরসাইকেল উপহার দিলেন রাব্বানী

রাজধানীর বাড্ডায় ট্রাফিক পুলিশের ওপর ক্ষুব্ধ হয়ে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে দেওয়া রাইড শেয়ারিং প্ল্যাটফর্ম ‘পাঠাও’র এক চালক শওকত আলীকে মোটরসাইকেল উপহার দিয়েছেন ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক ও ডাকসুর জিএস গোলাম রাব্বানী।

বুধবার ( ২৯ সেপ্টেম্বর) রাতে শওকত আলীর বাসায় গিয়ে বাজাজ-১২৫ সিসির ডিসকভার মোটরসাইকেলটি উপহার হিসেবে সেই চালকের হাতে তুলে দেন। রাব্বানী বলেন, ‘শওকত আলীর বাইক পুড়ানোর ভিডিওটা দেখে নিজের কাছে খুব খারাপ লেগেছিলো। মানবিক জায়গা থেকেই আসলে তাকে আসলে বাইকটি উপহার দিয়েছি। শওকত আলী আবারো এই মোটরসাইকেল দিয়ে রাইড শেয়ারিং করবে।’

করোনাকালীন দেশব্যাপী অসহায়দের মাঝে বিভিন্ন সময় সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দেওয়া Team Positive Bangladesh (TPB) এর পক্ষ থেকে শেখ হাসিনার জন্মদিন উপলক্ষে বাইকটি উপহার হিসেবে দেওয়া হয়েছে বলে জানান রাব্বানী। রাব্বানীর মতে, করোনাকালীন দেশের অনেক মানুষ অসহায় জীবন-যাপন করছেন। শওকত অনেক ভালো পরিবারের একটি ছেলে। কিন্তু এই সময় পরিবারের হাল ধরতে সেই অ্যাপস ভিত্তিক মোটরবাইক চালানোর কাজ শুরু করেন। একটা মানুষ কতটা কষ্ট পেলে, কতটা অসহায়ত্ব তাকে গ্রাস করলে ক্ষোভে-দুঃখে উপার্জনের একমাত্র অবলম্বন, মোটরসাইকেলটি আগুনে পুড়িয়ে দেয়, মানবিক হৃদয় দিয়ে সেটা সবাইকে অনুধাবন করা উচিত।

ছাত্রলীগের সাবেক এই নেতা মনে করেন, এই মহামারির মধ্যে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদেরও মানবিক দিক বিবেচনা করে কাজ করা দরকার। কারো ওপর জোর জবরদস্তি বা খারাপ ব্যবহার পরিহার করে সবার সঙ্গে ভালো ব্যবহার করা দরকার। বিশ্বের সব দেশেই ট্রাফিকের দায়িত্বে থাকা ব্যক্তিরা গাড়ি চালকদের সঙ্গে সম্মানের সাথে কথা বলে গাড়ির কাগজ পত্র চেক করেন। আমাদের দেশেও এমন হওয়া দরকার।

পাশাপাশি তিনি রাইড শেয়ারিং চালকদের প্রতি মানবিক হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বাংলাদেশ পুলিশের সুযোগ্য মহাপরিদর্শক, শ্রদ্ধেয় ড. বেনজীর আহমেদের গুণমুগ্ধ ভক্ত ও স্নেহাশিস অনুজ হিসেবে আকুল আবেদন, এই দুর্যোগকালে রাইড শেয়ারিং অ্যাপ্লিকেশন ভিত্তিক লক্ষাধিক সাধারণ চালকদের অসহায়ত্বের কথা বিবেচনা করে, তাদের প্রতি নমনীয়, সহনশীল আচরণ ও মানবিক দৃষ্টিভঙ্গি প্রদর্শন করতে দেশব্যাপী ট্রাফিক পুলিশের প্রতি যথাযথ নির্দেশনা দেবেন।’ ‘শওকত আলম ভাইয়ের মতো আরও অনেকেই আছেন, যারা পেশাদার চালক নন, করোনা পরিস্থিতিতে চাকরি/ ব্যবসা হারিয়ে বাধ্য হয়ে বাইক নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন।’

দেশে ১১টি কোম্পানি মোবাইল অ্যাপস ভিত্তিক রাইড শেয়ারিং করছে। কিন্তু কোম্পানিগুলো তাদের নিজেদের ইচ্ছামতো ভাড়ার তালিকা চালকদের ওপর চাপিয়ে দিয়েছে। এক্ষেত্রে চালকদের ওপর অনেকটাই চাপ পড়ে যাচ্ছে। তাই ইচ্ছামতো বাড়া না বাড়িয়ে একটা নীতিমালা করা দরকার বলে মনে করেন রাইড শেয়ারিং করা মোটরচালকরা। এর আগে, গত সোমবার একটি মামলার ওপর আরো একটি মামলা দিতে চাইলে ক্ষোভ থেকে নিজের মোটরসাইকেলে আগুন দেন শওকত আলী নামে ওই চালক।

শেয়ার করুন: