জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ (জিএম) কাদের বলেছেন, অবাধ, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি পূর্ণাঙ্গ সমাধান নয়। সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকার দীর্ঘমেয়াদি কোনো সমাধান নয়। তাই স্থায়ী সমাধানের জন্য সংবিধানের আলোকে নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন করতে হবে। বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) দুপুরে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয় মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এ কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, সংবিধান অনুযায়ী, দেশের সব বিভাগ নির্বাচন কমিশনের অধীনে থাকবে। নিরপেক্ষ সদস্যদের নিয়ে নির্বাচন কমিশন গঠন হলে দেশের মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচন সম্পন্ন করলে, স্থানীয় সরকারের নির্বাচন দলীয় সরকারের অধীনেই হবে। তাই আইন করে নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী করতে পারলে সব নির্বাচন ব্যবস্থার স্থায়ী সমাধান হবে।
দেশের রাজনীতিতে বিরাজনীতিকরণ চলছে দাবি করে জাপা চেয়ারম্যান বলেন, এভাবে চলতে থাকলে রাজনৈতিক দলগুলো হবে নাম ও সাইনবোর্ড সর্বস্ব রাজনৈতিক শক্তি। নির্বাচনে বিরোধী শিবিরের প্রার্থীরা টিকতে না পারলে রাজনৈতিক দলগুলো অস্তিত্বশূন্য হয়ে পড়বে।
তিনি আরও বলেন, সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনের মাধ্যমেই জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হবে, নির্বাচনের মাধ্যমেই সরকার পরিবর্তন হবে। কিন্তু সরকার ও প্রশাসনের চাপে নির্বাচনে টিকতে না পেরে দলগুলো সমর্থকহীন হয়ে পড়ছে। দেশের মানুষও ভোটের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলছে। এতে বহুদলীয় গণতন্ত্র বিকশিত হতে পারে না। বিরাজনীতিকরণ দেশ ও মানুষের জন্য কখনোই কল্যাণকর হতে পারে না। প্যারালালভাবে সরকার ক্ষমতা প্রয়োগ করলে নির্বাচন কমিশন কখনো সঠিকভাবে কাজ করতে পারবে না। তাই নির্বাচন কমিশন গঠনে আইন প্রণয়নের বিকল্প নেই।
এ সময় আরও বক্তব্য রাখেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য লে. জে. (অব.) মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রাক্তন সৈনিক পার্টির সভাপতি মো. জয়নাল আবেদীন, সাধারণ সম্পাদক মো. নিজাম উদ্দিন সরকার প্রমুখ।