গ্রেফতারের ২৭ দিন পর অবশেষে জামিন পেলেন চিত্রনায়িকা পরীমণি। মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক কেএম ইমরুল কায়েশ শুনানি শেষে জামিন মঞ্জুর করেন। মহানগর দায়রা জজ আদালতের অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর তাপস কুমার পাল এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, মঙ্গলবার দুপুর ২টায় ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমণির জামিন বিষয়ে শুনানি অনুষ্ঠিত হয়। শুনানি শেষে মাদক মামলায় পরীমণির জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন আদালত।
২২ আগস্ট ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশের আদালতে পরীমণির জামিন আবেদন করেছিলেন তার আইনজীবী মজিবুর রহমান। তখন আদালত শুনানির জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেছিলেন। পরে আইনজীবীরা এ নিয়ে হাইকোর্টে আবেদন করেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে ২৯ আগস্ট উচ্চ আদালতের নির্দেশে ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কেএম ইমরুল কায়েশ জামিন শুনানির জন্য ৩১ আগস্ট দিন ধার্য করেন।
এর আগে ১৯ আগস্ট পরীমণির একদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুল ইসলাম। এর আগে গত ১০ আগস্ট পরীমণি ও আশরাফুল ইসলাম দীপুর দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস। তার আগে ৫ আগস্ট পরীমণি ও দীপুর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছিলেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশিদ।
মাদক মামলায় গত ১৩ আগস্ট পরীমণি ও তার সহযোগী আশরাফুল ইসলাম দীপুকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই দিন সন্ধ্যা ৭টায় তাকে গাজীপুরের কাশিমপুর মহিলা কেন্দ্রীয় কারাগারে নেওয়া হয়। কারাগারের রজনীগন্ধা ভবনে তাকে কোয়ারেন্টাইন সেন্টারে রাখা হয়েছিল।
গত ৪ আগস্ট রাতে প্রায় চার ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগী দীপুকে আটক করে র্যাব। এ সময় পরীমণির বাসায় বিভিন্ন মাদক পাওয়া গেছে বলে জানায় র্যাব। ৫ আগস্ট র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে পরীমণি ও তার সহযোগীর বিরুদ্ধে বনানী থানায় মামলা করে।