প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতিতেই দেশে ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও অবনতি হতে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে স্বাস্থ্য অধিদফতর। রোববার (১৮ জুলাই) দুপুরে সারাদেশের করোনা পরিস্থিতি নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতরের নিয়মিত বুলেটিনে এই আশঙ্কার কথা জানান অধিদফতরের মুখপাত্র ও লাইন ডিরেক্টর অধ্যাপক ডা. নাজমুল ইসলাম।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন দেশে করোনা পরিস্থিতি এখন ঊর্ধ্বগামী। এ অবস্থায় ডেঙ্গু পরিস্থিতিও যদি অবনতি হয় তাহলে আমাদের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হবে। আর রাজধানীসহ সারাদেশের মশক নিয়ন্ত্রণে যারা দায়িত্বপ্রাপ্ত আছেন, তারা যদি নিজেদের জায়গা থেকে নিজেকে উজাড় করে না দেন তাহলে পরিস্থিতির অবনতি ঘটতে থাকবে।
নাজমুল ইসলাম বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে সাধারণ মানুষকেও অনেক বেশি সচেতন হতে হবে। ছাদে ফুলের টব, বাসার আশপাশের ড্রেনসহ সবকিছু পরিষ্কার রাখতে হবে। বাথরুমের কমোড, বালতিসহ কিছুতেই যেন পানি জমে না থাকে। বিশেষ করে তিন দিন বা তার বেশি সময়ের জন্য কোথাও চলে গেলে বাসায় কোনো পাত্রে পানি জমিয়ে রাখা যাবে না।
তিনি আরও বলেন, আমরা জানি এডিস মশা মূলত দিনের বেলায় কামড় দেয়। তাই দিনের যেকোনো সময় ঘুমালেও মশারি টানিয়ে ঘুমাতে হবে। তারপরও যদি কারও জ্বর হয় তাহলে করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি ডেঙ্গু পরীক্ষাও করতে হবে। এবং চিকিৎসা নেওয়ার ক্ষেত্রে অবশ্যই রেজিস্টার্ড কোনো চিকিৎসকের পরামর্শে ওষুধ গ্রহণ করতে হবে। প্রয়োজনে স্বাস্থ্য অধিদফতরের হট লাইন বা স্বাস্থ্য বাতায়ন যোগাযোগ করে চিকিৎসা নেবেন।
এর আগে শনিবার (১৭ জুলাই) তার আগের ২৪ ঘণ্টায় (১৬ জুলাই সকাল ৮টা থেকে ১৭ জুলাই সকাল ৮টা পর্যন্ত) ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে ৮১ জন রোগী ভর্তি হন। তাদের মধ্যে ঢাকায় নতুন রােগী ৮০ জন এবং ঢাকার বাইরে নতুন রােগী ১ জন।
চলতি বছরের ১ জানুয়ারি থেকে ১৭ জুলাই পর্যন্ত সর্বমােট ১ হাজার ১৩৯ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি এবং এই সময়ে সর্বমােট ৮০১ জন রোগী ছাড়প্রাপ্ত হয়েছেন। তবে রােগতত্ত্ব, রােগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটে (আইইডিসিআর) ডেঙ্গু সন্দেহে ২টি মৃত্যুর তথ্য পাঠানো হলেও আইইডিসিআর মৃত্যুর পর্যালােচনা সমাপ্ত করে একটি ডেঙ্গুজনিত মৃত্যুও শনাক্ত করতে পারেনি।