সামিহা মাইশা

মা হারানোর শোক নিয়েই অসুস্থ বাবার শুশ্রূষায় শিশু মাইশা

আকস্মিক দুর্ঘটনায় যেভাবে বদলে যায় জীবন, তেমনি প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের ছোবলে বদলে যাচ্ছে অনেকের জগত। তাদেরই একজন রাজধানীর মোহাম্মদপুরের খ্যাতনামা ইংরেজি মাধ্যমের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সেন্ট ফ্রান্সিস জেভিয়ার্স গ্রিন হেরাল্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী সামিহা মাইশা।

বুয়েট থেকে পাশ করা প্রকৌশলী বাবা কামাল হোসেন ও গৃহিনী মা ফরিদা ইয়াসমিন হীরার একমাত্র মেয়ে মাইশার জীবন ছিল অতি আদরের। মোহাম্মদপুরের শেখেরটেকে তিনজনের সংসার ছিল তাদের। এরমধ্যে বাবা-মায়ের করোনাভাইরাস সংক্রমণ ঘটে। কয়েক দিন ধরে দুজনই বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছিলেন। বুধবার সকাল ৯টায় মারা যান ৩৫ বছর বয়সী মা ফরিদা ইয়াসমিন হীরা।

মায়ের মৃত্যুর পর মোহাম্মদপুর এলাকায়ই আরেক ছেলের বাসা থেকে তাদের বাসায় এসেছেন মাইশার দাদু। তবে তার বয়স ৭৮ বছর, বার্ধক্যের ভারে অনেকটাই অচল তিনি।

এই অবস্থায় রান্নাসহ ঘরের যাবতীয় কাজ সারতে হচ্ছে মাইশাকে। সামাজিক দূরত্ব মেনে অসুস্থ বাবার সেবা-শুশ্রূষার পাশাপাশি দাদুকেও সেবা করতে হচ্ছে ছোট্ট মেয়েটিকে।

ওই পরিবারের ঘনিষ্ঠ একজন বলেন, “মায়ের মৃত্যুতে ছোট্ট মেয়েটি এখন সারাক্ষণ কান্নাকাটি করে। করোনাভাইরাস আক্রান্ত বাবাকে দেখভাল করার দায়িত্ব তার, সারাক্ষণ বাবার পাশে রয়েছে সে।” একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত প্রকৌশলী কামাল হোসেনের বাড়ি চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে।

শেয়ার করুন: