খালেদা জিয়া

আসছে খালেদার আনুষ্ঠানিক বিবৃতি

বেগম খালেদা জিয়া খুব শিগগিরই একটি বিবৃতি দিতে যাচ্ছেন। গত কয়েকদিন ধরেই এই বিবৃতি তৈরী করা হচ্ছে। এই বিবৃতি চুড়ান্ত করার লক্ষ্যে, বেগম জিয়ার ব্যক্তিগত আইনজীবী মাহাবুব উদ্দিন খোকন গত দুই দিন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাত করেছেন। জানা গেছে, বিবৃতি চুড়ান্ত প্রায়। এটিই হবে, জামিন পাবার পর বেগম জিয়ার প্রথম বিবৃতি। কি আছে ঐ বিবৃতিতে? এনিয়ে বিএনপি নেতৃবৃন্দ কোন মন্তব্য করতে রাজী হয়নি। গোপনে করা এই বিবৃতিতে কি থাকতে পারে এনিয়ে বিএনপির মধ্যে চলছে নানা জল্পনা কল্পনা।

বিএনপির একটি অংশ মনে করছে, উন্নত চিকিৎসার জন্য বেগম জিয়া বিদেশ যেতে চান। সম্ভবত বিদেশে যাওয়ার যৌক্তিকতা ব্যাখা করে এই বিবৃতি তৈরী করা হয়েছে। বিবৃতিতে খালেদা জিয়ার বর্তমান শারিরীক অবস্থা, তার চিকিৎসা এবং বিদেশ যাবার যৌক্তিকতা তুলে ধরা হবে। তবে, এই মতের বিরোধিতা করা বিএনপি নেতৃবৃন্দ বলছেন, বেগম জিয়া এখন বিদেশ যাওয়া নিয়ে ভাবছেন না। এব্যাপারে তিনি আগ্রহীও নন। বিশ্বে এখন যেভাবে করোনা সংক্রমন বাড়ছে তাতে তিনি চিকিৎসার জন্য বিদেশ যাওয়া সমীচিন মনে করছেন না।

বেগম জিয়ার সাম্ভাব্য বিবৃতি নিয়ে অনেকে মনে করছেন, সম্ভবত তিনি রাজনৈতিক কর্মকান্ড থেকে আনুষ্ঠানিক ভাবে অবসর নেবেন। গত ২৫ মার্চ বিশেষ বিবেচনায় জামিন পাওয়ার পর থেকে তিনি কোন রকম রাজনৈতিক কর্মকান্ডে অংশ গ্রহণ করেননি। কোন বিবৃতিও দেননি। যদিও বিএনপি নেতৃবৃন্দের কেউ কেউ মনে করেন, বেগম জিয়া জেল থেকে ফিরোজায় এলেও এখনও একরকম জেলেই আছেন। এজন্য তিনি বক্তৃতা বিবৃতি দিতে পারছেন না। তবে, বিএনপির সিংহ ভাগ নেতা-কর্মীই এই মতের সাথে একমত নন। তারা মনে করেন, নানা কারনে রাজনৈতিক কর্মকান্ডে আগ্রহী নন বেগম জিয়া। এর পেছনে একাধিক কারণ রয়েছে।

প্রথমত: তারেক জিয়ার উপর অসন্তোষ। দ্বিতীয়: বিএনপির নেতাদের আচরনে ক্ষোভ এবং তৃতীয়ত: ব্যক্তিগত হতাশা। তবে, অনেকেই মনে করেন, রাজনীতিতে অনানুষ্ঠানিক ভাবে অবসরে গেলেও এরকম আনুষ্ঠানিক ঘোষনা নানা বাস্তব কারনেই বেগম জিয়ার দেবেন না। একটি ক্ষুদ্র অংশ মনে করছে, দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বেগম জিয়া একটি আনুষ্ঠানিক বিবৃতি দেবেন। তবে, শেষ পর্যন্ত তার বিবৃতিতে কি থাকছে, তা নিয়ে আসলে অপেক্ষাই থাকতে হবে।

শেয়ার করুন: