ইতালির সংসদ

এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার সুযোগ নেই

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নেতৃত্বাধীন সরকারের অনুরোধে ইতালি সরকার তাদের সিজনাল ও নন-সিজনাল ওয়ার্কার্স কর্মসূচিতে বাংলাদেশকে অর্ন্তভূক্ত করেছে।

ফলে বাংলাদেশিদের জন্য ইতালিতে কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে। চলতি বছর বাংলাদেশসহ ২৫ দেশ থেকে ৩০ হাজার ৮৫০ জন মৌসুমী ও স্থায়ী কর্মী নেবে ইতালি। আগামী ৩১ ডিসেম্বর পর্যন্ত চলবে আবেদন প্রক্রিয়া।

এর মধ্যেই বিভিন্ন দালাল চক্র ইতালি পাঠানোর প্রতিশ্রুতিতে কর্মীদের কাছ থেকে টাকা নিচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। ইতালি গমনেচ্ছুকদের সতর্ক করে এমন পরিস্থিতিতে আর্থিক লেনদেন থেকে বিরত থাকতে বলেছে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়।

বুধবার মন্ত্রণালয়ের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতালিস্থ নিয়োগকর্তা সরাসরি কর্মী মনোনীত করবেন। পুরো নিয়োগ প্রক্রিয়া ব্যাখ্যা করা হয়েছে বিজ্ঞপ্তিতে।

তাতে স্পষ্ট কোনো এজেন্সি বা দালালের মাধ্যমে ইতালি যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু কিছু প্রতিষ্ঠান ১২ থেকে ১৩ লাখ টাকায় কর্মী পাঠানোর বিজ্ঞপ্তিতে দিচ্ছে অনলাইনে, ফেসবুকে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ইতালিস্থ নিয়োগকারী যে কর্মীকে নিতে চান তার নাম, পাসপোর্ট নম্বরসহ স্থানীয় প্রশাসকের কার্যালয়ের অনাপত্তিপত্রের জন্য আবেদন করতে হবে।

নিয়োগকারীর আয় ও অন্যান্য বিষয় বিবেচনা করে অনাপত্তিপত্র দেওয়া হলে তা তিনি বাংলাদেশে থাকা কর্মীর কাছে পাঠাবেন। মনোনীত কর্মীকে এরপর ভিসার জন্য দূতাবাসে আবেদন করতে হবে। ভিসা পেলে কর্মী ইতালি যেতে পারবেন। এরপর তাকে ও নিয়োগকারীকে স্থানীয় কার্যালয়ে গিয়ে চাকরির চুক্তিপত্র করতে হবে।

এতে বলা হয়েছে, ইতালিতে কর্মী হিসেবে যেতে আবেদনের সময় সরকার নির্ধারিত ১৬ ইউরো (এক হাজার ৬০০ টাকা) ফি দিতে হবে। 'হেল্প ডেস্ক'র সহায়তা নিলে বাড়তি ৫০ থেকে ১০০ ইউরো (পাঁচ থেকে ১০ হাজার টাকা) ফি লাগবে। এছাড়া আর কোনো খরচ নেই। যোগ্য বিবেচিত কর্মীদের পৃথক অনাপত্তিপত্র দেবে ইতালি।

করোনা পরবর্তী অর্থনীতিকে শক্তিশালী রাখতে ইতালি ৩০ হাজার ৮৫০ জন বিদেশি কর্মী নেবে। তাদের মধ্যে ১২ হাজার ৮৫০ জনকে স্থায়ীভাবে বাকি ১৮ হাজারকে খণ্ডকালীন কাজের সুযোগ দেওয়া হবে। খণ্ডকালীন নিয়োগপ্রাপ্ত নির্ধারিত সময় শেষে দেশে ফিরে আসতে হবে।

শেয়ার করুন: