বাইডেন-মোদি

বাইডেন ও মোদির ফোনালাপ, কৌশলগত সম্পর্ক মজবুত করার অঙ্গীকার

যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ করেছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। মঙ্গলবার এক টুইট বার্তায় এ কথা জানিয়েছেন মোদি।

পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় বাইডেনকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত সম্পর্ক আরও মজবুত করার কথাও বাইডেনকে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী।

একই সঙ্গে, ভারতীয় বংশোদ্ভূত যুক্তরাষ্ট্রের নির্বাচিত ভাইস প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিসকেও শুভেচ্ছা জানানোর কথা বাইডেনকে বলেছেন তিনি। আগামী দিনে ভারত-যুক্তরাষ্ট্রের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ক্ষেত্রে এই ফোনালাপ জরুরি ছিল। বাইডেনের সঙ্গে ফোনালাপ নিয়ে মোদি টুইটে লিখেছেন, ‘আমেরিকার নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে ফোনে শুভেচ্ছা জানালাম।

ভারত এবং আমেরিকার কৌশলগত সম্পর্কের প্রতিশ্রুতি আগামী দিনেও বজায় রাখার অঙ্গীকার করেছি আমরা। জলবায়ু পরিবর্তন, ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলে সহযোগিতা, করোনা মোকাবিলার মতো বিষয়গুলি নিয়েও কথা হয়েছে’। বাইডেনের সঙ্গে মোদির শেষ সাক্ষাৎ হয়েছিল ২০১৪ সালে। বারাক ওবামার সময় বাইডেন তখন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট।

প্রসঙ্গত, অতীতে প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সঙ্গে মোদীর ‘সখ্য’ ছিল চোখে পড়ার মতো। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরে হিউস্টনে ‘হাউডি মোদি’ বা ২০২০ সালের ফেব্রুয়ারিতে গুজরাতে ‘নমস্তে ট্রাম্প’-এর মধ্যে দিয়ে সেই সম্পর্ক ভিন্ন মাত্রা পেয়েছিল।

দুই রাষ্ট্রনেতার ব্যক্তিগত সম্পর্কের রসায়নের প্রমাণ হিসেবেই বিশ্ব ওই কর্মসূচিগুলিকে দেখেছে। কূটনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, রাজনৈতিক অবস্থানের নিরিখে মোদী এবং ট্রাম্প একই মেরুর বাসিন্দা।

তবে মোদীর সঙ্গে সুসম্পর্ক থাকলেও আমেরিকায় অভিবাসী নীতি নিয়ে ট্রাম্পের অবস্থান ছিল যথেষ্ট কঠোর। অন্যদিকে, ভারতে ‘অনুপ্রবেশকারী’দের নিয়ে মোদী সরকারের ‘কঠোর’ অবস্থানের কথা সকলেরই জানা।

শেয়ার করুন: