গ্রেপ্তারে

সিঙ্গাইরে শিশু হত্যা মামলায় বাবা গ্রেপ্তার

আঞ্চলিক প্রতিনিধি (মানিকগঞ্জ)
মানিকগঞ্জের সিঙ্গাইর মীম আক্তার নামে এক বছর বয়সী কন্যা শিশুকে হত্যার অভিযোগে দায়ের করা মামলার প্রধান আসামি বাবা আল-আমিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে থানা পুলিশ। গ্রেপ্তারকৃত আল-আমিন উপজেলার চান্দহর ইউনিয়নের ফতেপুর গ্রামের আব্দুল হালিমের ছেলে।

রবিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সিরাজপুর-পাড়াগ্রাম এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) কমপক্ষে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে ‌আদালতে হাজির করা হবে বলে জানান, মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এস‌আই ফরহাদুজ্জামান ভূইয়া।

গত ৬ নভেম্বর উপজেলার কালিগঙ্গা নদীর পাড় থেকে হাত-পা বিহীন শিশু মীম আক্তারের লাশ উদ্ধার করা হয়।

এদিকে উদ্ধারকৃত লাশ মীম আক্তারের কি না তা নিশ্চিত হওয়ার জন্য আদালতের নির্দেশে রবিবার দুপুরে কবরস্থান থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। পরে নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ টেস্টের জন্য পরীক্ষাগারে (ল্যাবরেটরি) পাঠানো হয়। এসময় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মেহের নিগার সুলতানা উপস্থিত ছিলেন।

পারিবারিক কলহের জেরে গত ৩ নভেম্বর স্ত্রী হোসনে আরাকে মারধর করে তার বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্বামী আল-আমীন। পরে এক বছর বয়সী ঔরসজাত শিশু সন্তান মীম আক্তারকে নিয়ে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যান তিনি। অনেক খোঁজাখুঁজি করেও স্বামী সন্তানের সন্ধান না পাওয়ায় ৪ নভেম্বর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন হোসনে আরা। ৬ নভেম্বর সন্ধ্যায় কালিগঙ্গা নদীর পাড় থেকে হাত-পা বিহীন ওই শিশুর লাশ উদ্ধার হয়।

এ ঘটনায় ওই দিনই স্বামী আল-আমীন (৩০) তার পিতা আ. হালিম (৫৫), মা নাছিমা বেগমসহ (৪৮) ৬ জনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন শিশুটির মা হোসনে আরা বেগম। মামলার অন্য আসামিরা হলেন, আল-আমীনের ভাই আজিজুল (৩৫), বোন মুক্তা আক্তার (২০) ও স্বজন ছাবিনা আক্তার (৩২)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) ফরহাদুজ্জামান ভূইয়া জানান, ঘটনার পর থেকেই নিহত শিশুর পিতা আল-আমিনসহ মামলার অন্য আসামিরা পালিয়ে বেড়াচ্ছে। গত ১৩ নভেম্বর প্রথমে নিহত শিশুটির চাচা আজিজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করা হয়।

রবিবার (১৫ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার সিরাজপুর-পাড়াগ্রাম এলাকায় অভিযান চালিয়ে মামলার প্রধান আসামি পিতা আল-আমীনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সে নিজের শিশু সন্তানকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে। আজ সোমবার (১৬ নভেম্বর) সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে ‌আদালতে হাজির করা হবে।

শেয়ার করুন: