সিলেটের এমসি কলেজে স্বামীকে বেঁধে গৃহবধূকে এবং খাগড়াছড়িতে বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে গণধর্ষণের ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে সুষ্ঠু তদন্ত ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম। কমিশনের জনসংযোগ কর্মকর্তা ফারহানা সাঈদ স্বাক্ষরিত এক বার্তায় তীব্র নিন্দা জানান তিনি।
বার্তায় জানানো হয়, স্বামীর সঙ্গে এমসি কলেজে ঘুরতে এলে ছয়-সাতজন যুবক এক তরুণীকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে কলেজ ছাত্রাবাস এলাকায় গণধর্ষণ করে। এ সময় তার স্বামী প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে আটকে রাখা হয়। আসামিদের কেউ এখনো গ্রেফতার হয়নি।
অন্যদিকে খাগড়াছড়িতে বুধবার রাতে নয়জন ডাকাত ঘরে ঢুকে তার বুদ্ধিপ্রতিবন্ধী তরুণীকে অস্ত্রের মুখে ধর্ষণ করে এবং ঘরের জিনিস লুটপাট করে। ঘটনার সঙ্গে জড়িত আসামিদের ইতোমধ্যে সাতজন গ্রেফতার হয়েছে বলে গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়।
এ দুই ঘটনার বিষয়ে কমিশনের চেয়ারম্যান নাছিমা বেগম মনে করেন, একের পর এক নারীর প্রতি নির্যাতন ও ধর্ষণ অত্যন্ত জঘন্য ও ঘৃণ্যতম ঘটনা, যা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। নারীর মানবাধিকার সুরক্ষিত করার লক্ষ্যে ধর্ষণের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়ন করা আবশ্যক। ধর্ষক যেই হোক না কেন তাকে আইনের আওতায় এনে দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।
সিলেটের ঘটনায় আসামিদের দ্রুত গ্রেফতার এবং খাগড়াছড়ির ঘটনায় গ্রেফতারসহ জড়িত অন্যদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।