সম্রাট-আরমান

সম্রাট-আরমানের মাদক মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত

ক্যাসিনো সম্রাট হিসেবে পরিচিত যুবলীগ ঢাকা দক্ষিণের বহিষ্কৃত সভাপতি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও তাঁর সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে করা মাদক মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হয়েছে।

ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম আদালত আজ রবিবার (১৫ ডিসেম্বর) মামলা বিচারের জন্য প্রস্তুত হওয়ায় মহানগর দায়রা জজ আদালতে স্থানান্তরের নির্দেশ দিয়েছেন। আজ মামলার ধার্য তারিখ ছিল।

এর আগে গত ৯ ডিসেম্বর এই মামলায় দুইজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় র‌্যাব। আজ নথি মহানগর হাকিম মাসুদ উর রহমানের আদালতে উপস্থাপন করা হয়। তিনি চার্জশিট গ্রহণ করে মামলা বিচারের জন্য স্থানান্তরের নির্দেশ দেন।

এর আগে গত ৬ নভেম্বর সম্রাটের বিরদ্ধে অস্ত্র আইনে দায়ের করা মামলায় অভিযোগপত্র দেয় র‌্যাব। মামলাটি মহানগর বিশেষ ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য স্থানান্তরিত হয়েছে।

মামলার চার্জশিটে সম্রাটের হেফাজত থেকে অস্ত্র, মাদকদ্রব্য, বৈদ্যুতিক শকড যন্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে বলে আলামত কলামে উল্লেখ করা হয়েছে। চার্জশিটে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেন, সরেজমিনে, প্রকাশ্য ও গোপনে ব্যাপক তদন্ত করে সাক্ষ্য-প্রমাণে প্রাপ্ত তথ্যাদির আলোকে, আলামতদৃষ্টে, ঘটনার পারিপার্শ্বিকতায় আসামি ইসমাইল চৌধুরী সম্রাট ও এনামুল হক আরমানের হেফাজত থেকে মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনা প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় এই চার্জশিট দাখিল করা হলো।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ক্যাসিনোবিরোধী অভিযান পর সম্রাটের নাম আলোচিত হয়। তাঁকে নিয়ে নানা গুঞ্জন শুরু হয়। পরে গত ৬ অক্টোবর ভোর ৫টার দিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের আলকরা ইউনিয়নের কুঞ্জুশ্রীপুর গ্রামে আত্মগোপনে থাকা সম্রাট ও তাঁর সহযোগী আরমানকে গ্রেপ্তার করা হয়।

আরমান মদ্যপ অবস্থায় থাকায় তাঁকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ছয় মাসের কারাদণ্ড দিয়ে কুমিল্লা কারাগারে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সম্রাটকে ঢাকায় নিয়ে আসা হয়। ওইদিন সন্ধ্যায় সম্রাটের কার্যালয় রাজধানীর কাকরাইলের ভূঁইয়া ট্রেড সেন্টারে অভিযান চালায় র‌্যাব।

ভবনটির চারতলায় সম্রাটের বিশ্রাম কক্ষ থেকে এক হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে র‌্যাব। সম্রাটের কক্ষে একটি লাগেজ থেকে ১৯ বোতল মদও উদ্ধার করা হয়। সেখান থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন ও পাঁচ রাউন্ড গুলিও উদ্ধার করা হয়।

ওইদিনই সন্ধ্যায় র‌্যাব-১-এর ডিএডি আবদুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে দুটি মামলা দায়ের করেন। পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগেও আরেকটি মামলা হয় সম্রাটের বিরুদ্ধে।

শেয়ার করুন: