সশস্ত্র বাহিনী

সশস্ত্রবাহিনী দিবস আজ

আজ ২১ নভেম্বর, সশস্ত্রবাহিনী দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে বাংলাদেশের সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনী সম্মিলিতভাবে মুক্তিযুদ্ধে পাকিস্তানি বাহিনীর বিরুদ্ধে আক্রমণের সূচনা করে।

অতঃপর ১৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ-ভারতের সেনাদের নিয়ে গড়া মিত্রবাহিনীর কাছে পাকিস্তান হানাদার বাহিনীর প্রায় ৯৩ হাজার সেনা আনুষ্ঠানিকভাবে রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমান সৌরাওয়ার্দী উদ্যান) আত্মসমর্পণ করে।

এ আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়েই বিশ্ব মানচিত্রে স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধের পরিসমাপ্তি ঘটে। দিবসটি উপলক্ষে আজ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

মুক্তিযুদ্ধে শহীদ সশস্ত্রবাহিনীর সদস্যদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী আজ সকালে ঢাকা সেনানিবাসের শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সেনাবাহিনী প্রধান জেনারেল আজিজ আহমেদ, নৌবাহিনী প্রধান এডমিরাল আবু মোজাফ্ফর মহিউদ্দিন মোহাম্মদ আওরঙ্গজেব চৌধুরী এবং বিমানবাহিনী প্রধান এয়ার চিফ মার্শাল মাসিহুজ্জামান সেরনিয়াবাত নিজ নিজ বাহিনীর পক্ষ থেকে শিখা অনির্বাণে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তিন বাহিনী প্রধানরা বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি এবং সশস্ত্রবাহিনী বিভাগে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন।

‘সশস্ত্রবাহিনী দিবস-২০১৯’ উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী ঢাকা সেনানিবাস আর্মি মাল্টিপারপাস কমপ্লেক্সে বীরশ্রেষ্ঠদের উত্তরাধিকারী এবং নির্বাচিত সংখ্যক খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের উত্তরাধিকারীদের সংবর্ধনা জানাবেন। এ ছাড়া প্রধানমন্ত্রী কর্তৃক নয়জন সেনা, দুইজন নৌ এবং তিনজন বিমানবাহিনী সদস্যদের ২০১৮-১৯ সালের শান্তিকালীন পদক দেবেন।

অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী, প্রধানমন্ত্রীর নিরাপত্তা উপদেষ্টা, তিন বাহিনীর প্রধান, সশস্ত্রবাহিনী বিভাগের প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার (পিএসও), প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব, বিশেষ সহকারী, সামরিক সচিব, প্রেস সচিব ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিবসহ বেসামরিক ও সামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত থাকবেন।

দিবসটি উদ্যাপন উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ হতে বিকেল ৪টায় ঢাকা সেনানিবাস সেনাকুঞ্জে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে। সশস্ত্রবাহিনী দিবস উপলক্ষে তিন বাহিনী প্রধানরা নিজ নিজ বাহিনীর খেতাবপ্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা/তাদের উত্তরাধিকারীদের অনুরূপ সংবর্ধনা দেবেন।

ঢাকা ছাড়াও সাভার, বরিশাল, কক্সবাজার, বগুড়া, সিলেট, ঘাটাইল, চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, যশোর, রংপুর, রাজেন্দ্রপুর ও খুলনা সেনানিবাস/ঘাঁটিতে সংশ্লিষ্ট এরিয়া সদর দফতরের ব্যবস্থাপনায় সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হবে।

বাংলাদেশ নৌবাহিনীর নির্ধারিত জাহাজগুলো ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, মোংলা, বরিশাল এবং চাঁদপুর জেলার নৌবন্দরে স্থানে দুপুর ২টা থেকে সূর্যাস্ত পর্যন্ত জনসাধারণের পরিদর্শনের জন্য উন্মুক্ত রাখা হবে।

শেয়ার করুন: