পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান বলেছেন, ইরানের সঙ্গে উত্তেজনা কমাতে ভূমিকা রাখতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প তাকে অনুরোধ করেছেন। যদিও ট্রাম্প আভাস দিয়েছেন, ইমরান খানই তার কাছে বিষয়টি উত্থাপন করেছেন। কিন্তু কোনো কিছু চূড়ান্ত হয়নি।
জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ট্রাম্প ও ইরানি প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানির সঙ্গে বৈঠক করেছেন ইমরান খান। এর আগে দুদিনের সৌদি সফরে যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের সঙ্গেও তার বৈঠক হয়েছে। যুবরাজও তাকে একই অনুরোধ করেছেন বলে দাবি করেন ইমরান খান।
নিউইয়র্কে বিশ্বনেতাদের এই সমাবেশে সাংবাদিকদের ইমরান খান বলেন, ট্রাম্প আমাকে বলেছেন- যদি আমি উত্তেজনা কমাতে পারি, তবে আরেকটি চুক্তিতে পৌঁছানো যাবে।
তিনি বলেন, আমরা বিষয়টি অবগত হয়েছি। আমরা নিজেদের সর্বোচ্চ চেষ্টাটা করব। মঙ্গলবার ট্রাম্পের সঙ্গে বৈঠকের পরেই রুহানির সঙ্গে বসেছি। এখন অবশ্য এর চেয়ে কিছু বলতে পারছি না। মধ্যস্থতার চেষ্টা করা ছাড়া এর বাইরে কিছু বলা সম্ভব নয়।
‘সৌদিতে তেল স্থাপনায় গত সপ্তাহের হামলার জন্য ইরানকে দায়ী করা হয়। যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানও আমাকে ইরানি প্রেসিডেন্টের সঙ্গে আলাপ করতে বলেছেন,’ বললেন সাবেক এ ক্রিকেট কিংবদন্তি।
সাধারণ অধিবেশনের ফাঁকে ট্রাম্প-রুহানির মুখোমুখি হওয়া নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছে। ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাঁক্রোনও এ দুই নেতাকে বসাতে চেষ্টা করছেন। যদি এমন কিছু ঘটে, তবে সেটি হবে ঐতিহাসিক।
আলাদা এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, তারা আলোচনায় বসতে চাচ্ছেন। এখন সেটিই মনে হচ্ছে। কিন্তু এ বিষয়ে আমরা এখনও একমত হতে পারিনি।
ম্যাঁক্রোনের প্রসঙ্গে জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলেন, তিনিও (ম্যাঁক্রোন) অবশ্য আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন। এ ছাড়া আরও কিছু লোক রয়েছে।
‘যার মধ্যে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানও রয়েছেন। বহুলোক, চান্সেলর অ্যাঙ্গেলা মেরকেল এখন চাচ্ছেন। তিনিও এ ক্ষেত্রে জড়িত। বহুলোক আমাদের এক টেবিলে বসাতে চাচ্ছেন,’ বললেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
কিন্তু তিনি ইমরান খানকে এমন কোনো অনুরোধ করেছেন কিনা, জানতে চাইলে ট্রাম্প বলেন, ভালো, তিনি সেটি করতে চান। আমাদের মধ্যে ভালো সম্পর্ক রয়েছে। কাজেই এমন কিছু ঘটার একটি সুযোগ রয়েছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট এর পর বলেন, কিন্তু আমি তার সঙ্গে এ বিষয়ে কোনো কথা বলিনি। সত্যিকার অর্থে তিনি আমার কাছে অনুরোধ করেছেন। তিনি মনে করেন, ইরানি নেতার সঙ্গে আমার বৈঠকের ধারণাটি চমৎকার। আমরা দুজনেই এখানে রয়েছি। আমরা নিউইয়র্কে, সেটি করার সময় আমাদের রয়েছে। গত দুদিনে আমরা অনেক কূটনৈতিক বৈঠক করেছি।
ঐতিহ্যগতভাবে পাকিস্তানের সঙ্গে সৌদি আরবের জোরালো সম্পর্ক রয়েছে। কিন্তু ইরানের সঙ্গেও ইসলামাবাদের সম্পর্ক ভালো। কূটনৈতিক সম্পর্কের অনুপস্থিতিতে যুক্তরাষ্ট্রে তেহরানের কনস্যুলার স্বার্থের প্রতিনিধিত্ব করে পাকিস্তান।