উপজেলা ছাত্রলীগ সম্পাদকের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলা

চাঁদপুরের শাহরাস্তিতে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে। এমন অভিযোগের প্রেক্ষিতে অভিযুক্ত সোহেল হোসেনকে গত মধ্যরাতে ওই যুবতীর বাড়ি থেকে আটক করেছে পুলিশ। এদিকে, ধর্ষিতাকে বুধবার দুপুরে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, শাহরাস্তি উপজেলা ছাত্রলীগে সাধারণ সম্পাদক সোহেল হোসেন (৩১) বিয়ের প্রলোভনে ফেলে একই উপজেলার উয়ারুক বাজারের দরিদ্র এক নৈশপ্রহরীর কলেজপড়ুয়া মেয়েকে একাধিকবার ধর্ষণ করেন। এই নিয়ে বিয়ের প্রস্তাব দেওয়া হলেও তা নিয়ে টালবাহনা করেন সোহেল রানা। মঙ্গলবার রাতে সোহেল রানা ফের ওই বাড়িতে গেলে পুলিশের হাতে তুলে দেন মেয়ের বাবা।

এই ঘটনার প্রেক্ষিতে মধ্যরাতেই শাহরাস্তি থানায় একটি ধর্ষণ মামলা করেন ঘটনার শিকার কলেজছাত্রীর বাবা। এদিকে, আটকের পর গ্রেপ্তার দেখিয়ে পাশের হাজীগঞ্জ থানা হাজতে রেখে দেওয়া হয় অভিযুক্ত সোহেল রানাকে।

ধর্ষিতা কলেজছাত্রী জানান, গত দেড় বছর ধরে প্রথমে প্রেমের ও পরে বিয়ের প্রলোভনে ফেলে তার সঙ্গে সম্পর্ক করেন সোহেল হোসেন। কিন্তু একপর্যায়ে দৈহিক সম্পর্ক হলে পরে তা অস্বীকার করেন সোহেল। মেয়েটির বাবা ওয়ারুক বাজারের ওই নৈশপ্রহরী জানান, তার মেয়ে স্থানীয় একটি কলেজ থেকে এবারে এইচএসসি পাস করেছে। বেশ মেধাবীও। কিন্তু মেয়ের এমন সর্বনাশ করার সোহেলের শাস্তি দাবি জানান তিনি।

শাহরাস্তি থানার ওসি মো. শাহআলম জানান, বুধবার দুপুরে অভিযুক্ত সোহেল হোসেনকে চাঁদপুরের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজাতে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, ঘটনার শিকার মেয়েটিকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য চাঁদপুর জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার সুজাউদ্দৌলা রুবেল জানান, ধর্ষিতার ডাক্তারি পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে।

শাহরাস্তি পৌরসভার সেনগাাঁও এলাকার ফল ব্যবসায়ী আহসান উল্যাহর ছেলে সোহেল হোসেন। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক হলেও বর্তমানে কোথাও পড়াশোনা করছেন না তিনি।

এদিকে, এমন ঘটনার প্রেক্ষিতে চাঁদপুর জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতাউর রহমান পারভেজ জানান, এটি একটি নৈতিক স্খলনের ঘটনা। সোহেলকে তার পদ থেকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার ও তার ছাত্রলীগের সদস্যপদও স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

শেয়ার করুন: