আলো ছড়ালেন যারা মমতার সম্মেলনে

মমতা ব্যানার্জির পাশে তারকা মুখ নতুন ঘটনা নয়। এর আগেও একুশে জুলাইয়ের মঞ্চে দেখা গিয়েছে শোবিজের একাধিক পরিচিত মুখ। সেই রীতির ব্যতিক্রম হলো না। এদিন ধর্মতলা চত্বরে এসে পৌঁছান নব্য নির্বাচিত সাংসদ নুসরাত জাহান ও মিমি চক্রবর্তী। ছিলেন দেব। এছাড়া ‘নতুন মুখ’ হিসাবে উপস্থিত হন অভিনেত্রী প্রিয়াঙ্কা সরকারকে।

একদিকে যেমন ‘নিয়মিত মুখ’গুলোকে এদিনের শহিদ মঞ্চে দেখা যাচ্ছে, তেমনই অন্যদিকে চোখে পড়েছে অরূপ দত্তের নেতৃত্বে টেলিভিশন তারকাদেরও। রনিতা দাস, সৌপ্তিক, সোহম চক্রবর্তী, মনামি ঘোষ, দোলন রায়, ভাস্কর বন্দ্যোপাধ্যায়েরা-সহ একাধিক তারকাকে উপস্থিত থাকতে ছিলেন। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন অভিনেতা-পরিচালক অরিন্দম শীল ও রাজ চক্রবর্তী।

বিজেপি টালিগঞ্জে ঝুঁকে পড়ে। ১১ জন তারকা যোগ দেয় বিজেপিতে। রাজনৈতিক মহলে গুঞ্জন শুরু হয়েছিল, টেলিভিশন তারকারা বোধহয় গেরুয়া শিবিরের দিকে ঝুঁকছেন, ধারণা করা হয়েছিল টালিগঞ্জের তারকারা হয়তো মমতার সমাবেশে আসবেন না, কিন্তু সেটি ভুল প্রমাণিত হলো।

জনসভায় মমতা বলেন, উনিশের ভোট হিস্ট্রি নয়, মিস্ট্রি। আর ইভিএম নয়, ব্যালটে ভোট চাই। এবার পুরভোটের মতো স্থানীয় স্তরেও ব্যালটে ভোট হোক। মন্তব্য তৃণমূলনেত্রীর। ইভিএম নয়। ব্যালট চাই। তৃণমূলের একুশের মঞ্চ থেকে ব্যালট ফেরানোর দাবিতে আরও আগ্রাসী মমতা। রাজ্যস্তরে পঞ্চায়েত-পুরসভায় ব্যালটে ভোট হবে। কমিশনে জানানো হবে বলে জানালে তৃণমূলনেত্রী।

তৃণমূলের টার্গেট বিজেপি। লোকসভা ভোটের পর বিদ্বেষ ছড়ানোয় গেরুয়াবাহিনীকে সরাসরি দায়ী কর করলেন মমতা। বিজেপিকে ভোট দিলে ভাটপাড়া হয়, প্রতিমুহূর্তে এজেন্সিকে দিয়ে ভয় দেখানো হচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভেঙে দেওয়ার অভিযোগেও সরব ছিলেন মমতা।

শেয়ার করুন: