কয়েকদিন ধরে চলছে টানা বৃষ্টি। রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বিভিন্ন জেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়কে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা। ভারী বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে পানি বেড়েছে নদ-নদীর। অনেক জায়গায় নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। বিভিন্ন জেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। পানিবন্দি হয়ে পড়েছে বহু মানুষ।
আবহাওয়া অধিদপ্তর বলছে, টানা বৃষ্টি আরো দুই দিন থাকবে। সূত্র জানিয়েছে, মৌসুমি বায়ু বাংলাদেশের সক্রিয় এবং বঙ্গোপসাগরে মাঝারি অবস্থায় বিরাজ করছে।
এই অবস্থায় আজ সোমবার (১৫ জুলাই) সন্ধ্যা নাগাদ রংপুর, ময়মনসিংহ, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগের অধিকাংশ জায়গা, ঢাকা ও বরিশাল বিভাগের অনেক জায়গা এবং রাজশাহী ও খুলনা বিভাগের কিছু কিছু জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি অথবা বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। একইসঙ্গে দেশের উত্তরাঞ্চলের কোথাও কোথাও মাঝারি ধরনের ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। পাহাড়ধসের আশঙ্কা রয়েছে চট্টগ্রামে।
পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশ, বিহার, হিমালয়ের পাদদেশীয় পশ্চিমবঙ্গ ও আসাম পর্যন্তও বিস্তৃত মৌসুমি বায়ু। এতে আসাম, মেঘালয়, সিকিমে ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে। বাড়বে দেশের নদ-নদীর পানিও। এরইমধ্যে ব্রহ্মপুত্র, যমুনা, সুরমা ও কুশিয়ারার পানি বিপদসীমার ওপরে উঠে গিয়ে নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হওয়া শুরু করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণ কেন্দ্রের তথ্য অনুযায়ী, আগামী ১৮ জুলাই নাগাদ কোনো কোনো নদ-নদীর পানি বিপদসীমার ১ মিটারের বেশি ওপরে উঠে তীব্র বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
আগামী ২১ জুলাই নাগাদ যমুনার পানি বাহাদুরাবাদ, সিরাজগঞ্জ, কাজীপুর; পদ্মার পানি গোয়ালন্দে বিপদসীমার এক মিটারের বেশি বেড়ে তীব্র বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে পারে।
আর এসব এলাকার অন্যান্য নদ-নদীর পানি এ সময় বিপদসীমার এতো ওপর দিয়ে প্রবাহিত না হলেও ১ মিটারের মধ্যেই থাকবে। ফলে বন্যা পরিস্থিতি বিস্তৃত হবে দেশের মধ্যাঞ্চলে। তবে এই অবস্থা দীর্ঘস্থায়ী হবে না। পানি নেমে যেতে কোনো প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি না হলে এক সপ্তাহের মধ্যেই পরিস্থিতির উন্নতি হবে।
আগামী মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) নাগাদ বৃষ্টিপাতের কার্যকারিতা হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অফিস।