আবারও বিতর্ক শুরু হলো দারুণ ছন্দে থাকা হার্ডহিটার লিটন দাসের আউট নিয়ে। আফগানিস্তানের বিপক্ষে আজ গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচে তামিম ইকবালের ওপেনিং সঙ্গী হয়েছিলেন লিটন। ১৭ বলে ২ বাউন্ডারিতে ১৬ রান করে ভালো কিছুর জানান দিচ্ছিলেন এই তরুণ। ঠিক তখনই ছন্দপতন। মুজিব-উর-রহমানের বলে শর্ট কাভার থেকে ক্যাচ নেন হাশমতউল্লাহ শহিদি। ফিল্ড আম্পায়ার নিশ্চিত ছিলেন না আউট নিয়ে। তাই ডাকা হয় তৃতীয় আম্পায়ার।
টিভি রিপ্লেতে দেখা যায়, বলটি শহিদির হাত ছুয়ে মাটি স্পর্শ করেছে। অনেকক্ষণ ধরে দেখার পরেও টিভি আম্পায়ার নিশ্চিত হতে পারছিলেন না, এটি আউট কিনা। এক্ষেত্রে 'বেনিফিট অব ডাউট' সবসময় ব্যাটসম্যানের পক্ষেই যায়। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তৃতীয় আম্পায়ার লিটনকে আউট ঘোষণা করেন! এরপরেই ক্রিকেটাঙ্গনে শুরু হয়েছ বিতর্ক। ইনফর্ম লিটন কি আদৌ আউট ছিলেন?
বিতর্কের অপর কারণ তৃতীয় আম্পায়ারের নাম আলিম দার। পাকিস্তানের এই আম্পায়ার বাংলাদেশের বিপক্ষে এর আগে বেশ কিছু বাজে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। যে কারণে এদেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের কাছে তিনি চক্ষুশূল। আজকের সিদ্ধান্তটিও বিতর্ক সাপেক্ষে বাংলাদেশের পক্ষে হওয়া উচিত ছিল। ক্রিকেটপ্রেমীরা বলছেন, নিজ দেশ পাকিস্তানকে সেমির লড়াইয়ে এগিয়ে রাখতেই ইচ্ছাকৃতভাবে এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন আলিম দার।
গতকাল লর্ডসে পাকিস্তানের ওপেনার ফখর জামানের এমন একটি ক্যাচ ধরেন বাউন্ডারিতে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির। প্রথম উইকেটের পতন মনে করে উল্লাসটা ভালোই ছিল তাহিরের। কিন্তু তাতে বাঁধ সাধেন ফিল্ড আম্পায়াররা! বল মাটি স্পর্শ করেছে কি না, তা নিয়ে নিশ্চিত না হওয়ায় ডাক পড়ে থার্ড আম্পায়ারের। রিপ্লেতে থার্ড আম্পায়ার দেখতে পান, বলটি মাটি স্পর্শ করেছে। এরপরই ক্যাচ নেন ইমরান তাহির। থার্ড আম্পায়ার 'নট আউট' সিদ্ধান্ত দিলে জীবন পান ফখর জামান।
উল্লেখ্য, গত বছরের এশিয়া কাপে দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করা লিটনকে বিতর্কিতভাবে আউট দেওয়া হয়েছিল।