নদী তীরের ১৫ হাজার অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী জানিয়েছেন, এখন পর্যন্ত ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জে নদীবন্দরের আওতাধীন নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ১৫ হাজার ১৭৫টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করে ৫৬৭ দশমিক ১২ একর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে।

আজ রোববার (২৩ জুন) জাতীয় সংসদে সরকারি দলের সদস্য ইসরাফিল আলমের টেবিলে উত্থাপিত এক লিখিত প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী এ তথ্য জানান।

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, এখন পর্যন্ত ঢাকা নদীবন্দরের বুড়িগঙ্গা, তুরাগ ও বালু নদীর তীরবর্তী এলাকা থেকে প্রায় ১২ হাজার ৩৯৬টি অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে এবং ৩৭২ দশমিক ১২ একর তীরভূমি উদ্ধার করা হয়েছে। এছাড়া নারায়নগঞ্জ নদীবন্দরের আওতাধীন শীতলক্ষ্যা নদীর তীরভূমি থেকে প্রায় ২ হাজার ৭৭৯টি অবৈধ স্থাপনা এবং ১৯৪ একর তীরভূমি উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে।

নৌ-পরিবহন প্রতিমন্ত্রী বলেন, উচ্ছেদ একটি চলমান প্রক্রিয়া। উচ্ছেদের পর নদীর তীরভূমি পুনঃদখল রোধকল্পে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হিসেবে নদীর উভয় তীরে ওয়াকওয়ে, আরসিসি স্টেপস, বসার বেঞ্চ, ইকোপার্ক নির্মাণ, নদীরপাড় বাঁধাই, গাইড ওয়াল নির্মাণ ও বৃক্ষরোপন কার্যক্রম চলমান রয়েছে।

এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী বলেন, ১৯৬০ সালের পূর্বে দেশের নৌপথের দৈর্ঘ্য ছিল ২৪ হাজার কিঃ মিঃ। নানা অব্যবস্থাপনায় কমে এর দৈর্ঘ্য দাঁড়ায় ৬ হাজার কিঃ মিঃ। বর্তমান সরকার ক্ষমতায় এসে গত ১০ বছরে ১৬’শ নৌপথ খনন করেন। ফলে বর্তমানে এ পথের দৈর্ঘ্য ৭ হাজার ৬০০ কিঃ মিঃ। সারাদেশের আরো ১৭৮টি নদীর ১০ হাজার কিঃ মিঃ নৌপথ খননের কাজ চলমান রয়েছে।

আনোয়ার হোসেন খানের প্রশ্নের জবাবে খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, চলতি ২০১৮-১৯ অর্থবছরে বাংলাদেশ শিপিং কর্পোরেশনে ৬টি নতুন জাহাজ অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, এতে ব্যয় হয়েছে ১ হাজার ৬শ ৩৭ কোটি ১৫ লাখ ১৫ হাজার টাকা।

মাহমুদ উস সামাদ চৌধুরীর প্রশ্নের জবাবে নৌ-প্রতিমন্ত্রী বলেন, বিআইডব্লিউটিএ’র নৌ-সংরক্ষণ ও পরিচালনা বিভাগের অধীনে ছোট বড় মোট ৬০টি জাহাজ রয়েছে। এ সকল জাহাজসমূহ যাত্রীবাহী নহে এবং বাণিজ্যিক কাজেও ব্যবহার হয় না। তবে, সংস্থার উন্নয়ন কাজে ব্যবহার করা হয়। টিসির অধীনে সী-ট্রাক ও ওয়াটারবাসসহ সচল-অচল মিলিয়ে সর্বমোট ৩৮টি যাত্রীবাহী জাহাজ রয়েছে। এসব জাহাজ দেশের অভ্যান্তরীণ বিভিন্ন রুটে চলাচল করছে।

শেয়ার করুন: