যে সমীকরণে সেমিফাইনালে উঠতে পারে টাইগাররা

সেমিফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে বিশ্বকাপের ২৬তম ম্যাচে বৃহস্পতিবার (২০ জুন) অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে মাঠে নামে বাংলাদেশ। সেমিফাইনালের স্বপ্ন বাঁচিয়ে রাখতে হলে এই ম্যাচে জেতার কোন বিকল্প ছিল না টাইগারদের।

ট্রেন্ট ব্রিজে অস্ট্রেলিয়ার দেয়া ৩৮২ রান তাড়া করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভার খেলে ৮ উইকেট হারিয়ে ৩৩৩ রান করে বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত মুশফিকের সেঞ্চুরির পরেও ৪৮ রানে হেরে যায় টাইগাররা।

তবে এদিন নিজেদের ওয়ানডে ইতিহাসের সর্বোচ্চ ৩৩৩ রান করে গোটা বিশ্বকে ভয়-ডরহীন ক্রিকেট উপহার দিয়ে প্রশংসা কুড়িয়েছে টাইগাররা। অজিদের বিপক্ষে হেরে ৬টি ম্যাচে বাংলাদেশের পয়েন্ট এখন ৫। এর ফলে সেমিফাইনালের দৌঁড়ে টিকে থাকার লড়াই কঠিন হয়ে গেছে। অবশ্য কাগজে কলমে বাংলাদেশের সেমিফাইনাল যাওয়াটা একেবারে অসম্ভব নয়। বলা যায় এখনও ক্ষীণ একটি সম্ভাবনা রয়েছে মাশরাফিদের সামনে।

সেমিফাইনাল সামনে রেখে বাংলাদেশের সামনে রয়েছে ৩টি ম্যাচ। সেমিফাইনাল খেলতে হলে টাইগারদের এই সবগুলো ম্যাচ জিততে হবে। এই ৩ ম্যাচ জিতলেও পয়েন্ট হবে ১১। তবে কেবল জিতলেই হবে না, কারণ পয়েন্ট টেবিলে উপরে থাকা বাকি চার দলের জয়-পরাজয়ের উপর বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হবে।

এই মুহূর্তে পয়েন্ট টেবিলে সবার উপরে অস্ট্রেলিয়া, তারপর নিউজিল্যান্ড, ইংল্যান্ড ও ভারত। সেমির দৌঁড়ে এগিয়ে এই চার দল। বিশ্বকাপের গ্রুপ পর্বে অস্ট্রেলিয়ার বাকি আছে ৩ ম্যাচ। এই ৩ ম্যাচ অস্ট্রেলিয়া যদি হেরে যায় তাহলে বাংলাদেশের জন্য সেমিফাইনালের দরজা খুলে যাবে।

পয়েন্ট টেবিলের দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে নিউজিল্যান্ড। তাদের ৪টি ম্যাচ বাকি রয়েছে। কিউইদেরও হারতে হবে তিন ম্যাচ। বাকি এক ম্যাচ জিতলে রান রেট বিবেচনা হবে। সেক্ষেত্রে বাংলাদশের চেয়ে নিউজিল্যান্ডের রানরেট ভালো।

স্বাগতিক ইংল্যান্ড ৮ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে। ইংলিশরা ৫টি ম্যাচ খেলে ৪টিতে জয়, ১টিতে হেরে।

চলতি বিশ্বকাপে এখনও ৫ ম্যাচ বাকি ভারতের। এই ৫ ম্যাচের মধ্যে ৪ ম্যাচ হারলে কোহলিদের টপকে যাবে টাইগাররা। আর ৩ ম্যাচ হারলে বিবেচনা হবে রানরেট। ইংল্যান্ডের বাকি ৪ ম্যাচ। বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা করলে ইংলিশদের ৪ ম্যাচের মধ্যে অবশ্যই হারতে হবে ৩টি ম্যাচ। তবে বাকি এক ম্যাচ জিতে গেলেও টাইগারদের জন্য অসুবিধা হবে না।

বাংলাদেশের পরের ম্যাচ ২৪ জুন। লড়তে হবে র‍্যাংকিংয়ের নিচের সারির দল আফগানিস্তানের সাথে। এরপর ২ জুলাই ভারত। আর গ্রুপ পর্বের শেষ ম্যাচ ৫ জুলাই লর্ডসে পাকিস্তানের বিপক্ষে। এই তিন ম্যাচ জিততে পারলেই টাইগারদের সেমিফাইনালে যাওয়ার সম্ভাবনা টিকে থাকবে। যদিও সমীকরণ বলছে, ৩ ম্যাচে জয় পেলেও পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থাকা ৪ দলের জয় বা পরাজয়ের উপরেও বাংলাদেশকে নির্ভর করতে হবে। তবে টাইগারদের বাকি আছে যে ৩ ম্যাচ, এই ম্যাচগুলোর যেকোনো একটি ম্যাচও হেরে গেলে টাইগারদের সেমিফাইনালের স্বপ্ন পুরাপুরি ভেস্তে যাবে।

শেয়ার করুন: