বুড়িগঙ্গায় নৌকাডুবি: নিখোঁজ ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার

ঢাকার সদরঘাট লঞ্চের ধাক্কায় নৌকাডুবির ঘটনায় নিখোঁজ ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার দুপুর ১২টার দিকে ওয়াজঘাট এলাকা থেকে মিসকাত হোসেন (১২) ও নুসরাত আকতারের (১০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের মরদেহ পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থানার ওসি রেজাউল করিম ভূইয়া।

এর আগে সকালে ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল মসজিদ ঘাট থেকে বুড়িগঙ্গা নদী পার হতে গিয়ে শুক্রবার সকাল সাড়ে ৭ টায় এম ভি পূবালী -৭ নামের এক লঞ্চের ধাক্কায় একই পরিবারের চার সদস্যসহ ৫ যাত্রী নিয়ে বুড়িগঙ্গায় নৌকা ডুবে যায়।

পরে নৌকার মাঝিরা এক বছরের শিশুকন্যা নুসাইবাসহ মা জোছনা বেগম ও মামাকে উদ্ধার করলেও ভাই-বোন মিসকাত হোসেন ও নুসরাত আকতার নদীতে ডুবে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরিরা উদ্ধার অভিযান চালিয়ে দুই শিশুর মরদেহ উদ্ধার করে।

দুই শিশুর বাবা বাবুল ফরাজি জানায়, তারা ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার কালীগঞ্জ পশ্চিমপাড়া এলাকায় আবুল মিয়ার বাড়িতে ভাড়া থাকেন। তার বড়ছেলে মিসকাত হোসেন কালীগঞ্জের শামসুল হক মাদ্রাসায় মকতবে পড়ে এবং মেয়ে নুসরাত আকতার কালীগঞ্জ মডেল স্কুলে শিশু শ্রেণিতে পড়তো।

ঈদের ছুটিতে তিনি পরিবারের ৫ সদস্য নিয়ে বরিশাল জেলার বাবুগঞ্জ থানা এলাকায় নিজ বাড়িতে বেড়াতে যান। পরে তিনি গত সপ্তাহে স্ত্রী সন্তানকে বাড়িতে রেখে ঢাকায় চলে আসেন। বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে জোছনা বেগম বরিশাল থেকে ছেলে-মেয়েকে নিয়ে এম ভি সূরভী - ৭ লঞ্চে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেয়।

তিনি আরও জানান, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৬ টায় তারা ঢাকার সদরঘাট টার্মিনালে পৌঁছে। পরে মসজিদ ঘাট থেকে নৌকা যোগে ছেলে-মেয়েসহ ৫ যাত্রী নিয়ে কেরানীগঞ্জ যাওয়ার পথে এমভি পূবালী -৭ লঞ্চটি নৌকার উপর সজোরে ধাক্কা দেয়। এতে নৌকাটি ডুবে যায়। এ সময় নৌকার মাঝিরা তার স্ত্রী জোছনা বেগম, শিশুকন্যা এবং মামাকে উদ্ধার করতে পারলেও লঞ্চের পাখার তীব্র স্রোতে ভাই-বোন ডুবে যায়।

ঢাকার সদরঘাট টার্মিনাল থানার ওসি রেজাউল করিম ভূইয়া জানান, ঘটনার পরপরই ঢাকা সদরঘাট নৌ ফায়ার সার্ভিস ও সদরঘাট ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট সকাল ৮ টা থেকে উদ্ধার অভিযান চালিয়ে ভাই-বোনের মরদেহ উদ্ধার করে। মরদেহ দুটি পরিবারের নিকট হস্তান্তর করা হয়েছে।

শেয়ার করুন: