অতীত কর্মকাণ্ডে বিএনপির ওপর আস্থা হারিয়েছে জনগণ

২০১৯-২০ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটের ওপর আলোচনায় অংশ নিয়ে সরকারি দলের সদস্যরা বলেছেন, অতীত কর্মকাণ্ডের কারণে দেশের জনগণ বিএনপির ওপর থেকে আস্থা হারিয়েছে। সে কারণে তারা (বিএনপি) মিথ্যাচার করছে। জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। কিন্তু জনগণ উন্নয়ন ও অগ্রগতি চায়। আর সে কারণেই বর্তমান সরকারের ওপর আস্থা রেখেছে।

বৃহস্পতিবার (২০ জুন) জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রথমে স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী ও পরে ডেপুটি স্পিকার অ্যাডভোকেট মো. ফজলে রাব্বী মিয়ার সভাপতিত্বে এসব আলোচনা হয়। আলোচনায় প্রস্তাবিত বাজেটের সমালোচনা করেন বিরোধী দল জাতীয় পার্টি ও ক্ষমতাসীন জোটের শরীক দলের সদস্যরা।

সাবেক কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থেকে বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার, আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনাল করে স্বাধীনতা বিরোধী আলবদর রাজাকারদের বিচার শুরু করেন। কিন্তু খালেদা জিয়া তিনবারের প্রধানমন্ত্রী হয়েও তার স্বামী জিয়াউর রহমানের হত্যার বিচার করেননি, সেই বিচারের ফাইল এখনো চট্টগ্রাম কোর্টে পড়ে আছে। বিএনপি অভিযোগ করে আমরা নাকি খালেদা জিয়াকে জেলে মারতে চাইছি! বেগম জিয়াকে মারতে যাবে কে?

গৃহায়ণ ও গণপূর্তমন্ত্রী অ্যাডভোকেট শ ম রেজাউল করিম বলেন, একদিন যারা সংখ্যাগরিষ্ঠার জোরে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকারীদের বিচার ঠেকাতে ইনডেমনিটি জারি করেছিলেন, সময়ের ব্যবধানে তাদের (বিএনপি) এখন সংসদে ৬-৭ জন সংসদ সদস্যও নেই। ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় সরাসরি তারেক রহমানসহ জিয়া পরিবার জড়িত ছিল। এতিমের টাকা আত্মসাৎ করে খালেদা জিয়া দণ্ডিত হয়ে এখন কারাগারে। অনেক জ্ঞানপাপী এসব দণ্ডিত দুর্নীতিবাজদের মুক্তি চান। কিন্তু অপরাধী অপরাধীই, কেউই আইনের ঊর্ধ্বে নয়।

তিনি আরও বলেন, ভুল রাজনীতির কারণে বিএনপিকে এখন খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ভুল রাজনীতি থেকে ফেরত না আসলে মাইক্রোসকোপ দিয়েও বিএনপিকে একদিন খুঁজে পাওয়া যাবে না। দেশে শেখ হাসিনার বিকল্প একমাত্র শেখ হাসিনাই।

নির্বাচন ও সংসদে যোগদানের বিষয়ে বিএনপির অবস্থানের সমালোচনা করেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, আপনারা এই সরকারকে অবৈধ বলেন, এই সংসদে বক্তব্য দেন, নিজেদের জন্য প্লট চান, নিজের এলাকার উন্নয়ন চান। এটা গ্রহণযোগ্য নয়।

বাজেট প্রণয়ন নীতির সমালোচনা করে ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ফজলে হোসেন বাদশা বলেন, গত ১০ বছর ধরে প্রবৃদ্ধি নির্ভর উন্নয়ন মডেল অনুসরণ করে বাজেট প্রণয়ন করেছে। যে মডেলে সমতা ও ন্যায্যতা অনুপস্থিত। ফলে দেশে প্রবৃদ্ধি বাড়লেও জনগণের আর্থ-সামাজিক অবস্থার উন্নয়ন হচ্ছে না।

শেয়ার করুন: