কিশোরগঞ্জে চয়ন হত্যায় তিনজনের ফাঁসি, সাতজনের যাবজ্জীবন

কিশোরগঞ্জের হোসেনপুরের বাসিন্দা ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র এরশাদুল হক চয়ন হত্যা মামলায় তিনজনকে ফাঁসি ও সাতজনকে যাবজ্জীবন করাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় কিশোরগঞ্জের প্রথম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।

মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- হোসেনপুরের সিদলা গ্রামের আবদুল আউয়াল, আল আমিন ও সুফল মিয়া। এ তিনজনের মধ্যে আল আমিন ছাড়া অন্য দুজন পলাতক করয়েছেন। আর যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের মধ্যে রয়েছেন-সিদলা গ্রামের আব্দুল করিম, সাফিয়া খাতুন, আব্দুল কাদির, সোহেল মিয়া, রিপা আক্তার, জহুরা খাতুন ও আব্দুর রউফ ফকির। এদের মধ্যে সোহেল পলাতক রয়েছে।

আদালত সূত্র জানিয়েছে, পূর্ব শত্রুতা ও জমি-জমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে ২০০৫ সালের ২ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জ জেলার হোসেনপুর উপজেলার সিদলা ইউনিয়নের টান সিদলা গ্রামের জহিরুল ইসলাম রতনের ছেলে এরশাদুল ইসলাম চয়নকে হত্যা করে আসামিরা।

এ ঘটনায় ওইদিন নিহতের বাবা বাদী হয়ে হোসেনপুর থানায় ১১ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা করেন। দীর্ঘ ১৪ বছর পর মামলাটির এ রায় ঘোষণা করা হয়। আসামিদের মধ্যে একজন এরই মধ্যে মারা গেছেন।

মামলার বাদী চয়নের বাবা জহিরুল ইসলাম রতন এ রায়ে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। তিনি জানান, তার ছেলে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করত। সে বাংলাদেশ রেলওয়েতে একটি চাকরি পেয়েছিল। ২০০৫ সালের ১ তারিখে বাড়ি আসে সে।

পরদিন দুপুরে প্রতিপক্ষের লোকজন পূর্ব শত্রুতার জের ধরে তার মা ও বোনকে বাড়ির সামনে মারধর করতে থাকে। তাদের ডাকচিৎকার শুনে ঘর থেকে বের হলে তাকেও নৃশংসভাবে কুপিয়ে গুরুতর জখম করে। পরে হোসেনপুর হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।

শেয়ার করুন: