আফগানদের বড় ব্যবধানে হারিয়ে শীর্ষে ইংল্যান্ড

আফগানিস্তানকে বড় ব্যবধানে হারাল ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে মঙ্গলবার দিনের একমাত্র ম্যাচে আফগানদের ১৫০ রানে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। পাঁচ ম্যাচ খেলে ইংল্যান্ডের এটি চতুর্থ জয়। ৮ পয়েন্ট নিয়ে তারা এখন পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে অবস্থান করছে। পাঁচ ম্যাচ খেলে অস্ট্রেলিয়ারও পয়েন্ট ৮। কিন্তু নেট রান রেটে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড। আর পাঁচ ম্যাচ খেলে পাঁচটিতেই হেরে সবার নিচে অবস্থান করছে আফগানিস্তান।

এদিন ম্যানচেস্টারের ওল্ড ট্রাফোর্ডে অনুষ্ঠিত ম্যাচটিতে ইংল্যান্ডের দেওয়া ৩৯৮ রানের জয়ের টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৪৮ রান করতে সক্ষম হয় আফগানরা। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৭৬ রান করেন হাশমতউল্লাহ শহীদি। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪৬ রান করেন রহমত শাহ। ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে মার্ক উড ২টি, জফরা আর্চার ৩টি ও আদিল রশীদ ৩টি করে উইকেট শিকার করেন।

এর আগে টস জিতে ব্যাট করতে নেমে নির্ধারিত ৫০ ওভারে ৬ উইকেটে ৩৯৭ রান সংগ্রহ করে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের এটি সেরা ইনিংস। আর সবমিলিয়ে বিশ্বকাপে এটি ষষ্ঠ সেরা ইনিংস।

এই বড় স্কোর দাঁড় করানোর পেছনে মূল নায়ক অধিনায়ক ইয়ন মরগ্যান। ৭১ বলে ১৭টি ছক্কা ও চারটি চারের সাহায্যে ১৪৮ রান করেন তিনি। এই ইনিংস খেলার পথে তিনি রোহিত শর্মার রেকর্ড ভেঙে এক ম্যাচে সর্বাধিক ছক্কা মারার রেকর্ড গড়েছেন। শুধু ছক্কাতেই সেঞ্চুরি হয়েছে মরগ্যানের। ১৭টি ছক্কা থেকে এসেছে ১০২ রান।

ওয়ানডে ক্রিকেটে এর আগে এক ম্যাচে ১৬টি করে ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন ভারতের রোহিত শর্মা, দক্ষিণ আফ্রিকার এবি ডি ভিলিয়ার্স ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের ক্রিস গেইল। আজ এই তিন ব্যাটসম্যানকেই ছাড়িয়ে এক ম্যাচে সর্বাধিক ছক্কা মারার রেকর্ড নিজের দখলেন নিলেন মরগ্যান।

চার নম্বর পজিশনে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকে ঝড়ো ব্যাটিং করতে থাকেন মরগ্যান। ৩৬ বলে ব্যক্তিগত অর্ধশত পূরণ করার পর ৫৭ বলে সেঞ্চুরি করেন মরগ্যান। বিশ্বকাপের ইতিহাসে এটি চতুর্থ দ্রুততম সেঞ্চুরি। ২০১১ বিশ্বকাপে ৫০ বলে সেঞ্চুরি করেছিলেন আয়ারল্যান্ডের কেভিন ও’ব্রাইন।

মরগ্যান ছাড়া ভালো ইনিংস খেলেছেন জনি বেয়ারস্টো ও জো রুট। বেয়ারস্টো করেছেন ৯০ রান। ওয়ানডাউনে নেমে ৮৮ রান করেছেন জো রুট। ৯ বলে ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন মঈন আলী। আফগানিস্তানের বোলারদের মধ্যে দৌলৎ জাদরান ৩টি ও গুলবদিন নাইব ৩টি করে উইকেট শিকার করেছেন।

শেয়ার করুন: