সীমান্তে হত্যা বেড়ে যাওয়া অনাকাঙ্ক্ষিত

ভারত-বাংলা সীমান্তে হত্যার ঘটনা তুলনামূলক হারে অনেক বেশি বেড়ে যাওয়াকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে দাবি করেছেন ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মহাপরিচালক (ডিজি) শ্রী রজনীকান্ত মিশ্রা। বুধবার থেকে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) এবং ভারতের বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (বিএসএফ) মধ্যে মহাপরিচালক পর্যায়ে চার দিনব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শুরু হয়।

শনিবার (১৫ জুন) সকালে পিলখানায় বিজিবি সদর দপ্তরে উভয় দেশের চারদিন ব্যাপী সীমান্ত সম্মেলন শেষে প্রেস ব্রিফিংয়ে বিএসএফ ডিজি এ দাবি করেন তিনি।

ডিজি শ্রী রজনীকান্ত মিশ্রা বলেন, ‘হত্যার ঘটনা কেন বেড়ে গেছে-তা আমরা খতিয়ে দেখছি। সীমান্তে হত্যা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে আমাদের বাহিনীর সদস্যদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘গত বছর সীমান্তে একজন বাংলাদেশি নিহত হয়েছেন। পক্ষান্তরে বাংলাদেশি চোরাচালানিদের হামলায় ৬ জন ভারতীয় নাগরিক ও ১ জন বিএসএফ জওয়ান নিহত হয়েছেন। বিএসএফ সদস্যদের ওপর ধারালো ছুরি, পাথর নিক্ষেপসহ অনেক ধরনের ভয়াবহ হামলা চালানো হয়। তখন আত্মরক্ষার্থে আমরা গুলি (ফায়ার আমর্স) চালাই। তবে কাউকে টার্গেট করে চালানো হয় না।’

প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ ডিজি বলেন, ‘২০১০ সালে সীমান্তে ফেলানী নামে এক কিশোরী হত্যার ঘটনায় ৫ বিএসএফ সদস্য কোর্টের বিচারাধীন রয়েছেন (আন্ডার কোর্ট ট্রায়াল)।’

এদিকে ভারত থেকে ইয়াবা বাংলাদেশে ঢুকছে-সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে বিএসএফ ডিজি বলেন, `ইয়াবা আসছে তৃতীয় একটি দেশ থেকে। তবে এর মধ্যে ত্রিপুরা সীমান্ত দিয়ে ৫০ হাজার ইয়াবাসহ দুই বাংলাদেশি নারী প্রবেশ করেছিল। তাদেরকে আটক করা হয়েছে।’

ভারতে অবস্থান করে জামায়াতুল মুজাহিদীন-জেএমবির সদস্যরা বাংলাদেশে আক্রমণ করার বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে শ্রী রজনীকান্ত মিশ্রা বলেন, ‘সীমান্ত দিয়ে সন্ত্রাসী অবৈধ পারাপার বন্ধ করার জন্য দুই দেশ কাজ করছে।’

বাংলাদেশের বিজিবি ডিজি মেজর জেনারেল সাফিনুল ইসলাম বলেন, ‘সীমান্তে হত্যার ঘটনা শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনতে দুই দেশের বাহিনীর মধ্যে কাজ করা হচ্ছে।’

শেয়ার করুন: