নরেন্দ্র মোদি কয়েক দিন আগেই দ্বিতীয় বারের মত ভারতের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ গ্রহণ করেছেন। মোদির মন্ত্রিসভায় জায়গা করে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব নিয়েছেন এক সুন্দরী মন্ত্রী। এরপরই শিরোনামে উঠেন ওই সুন্দরী।
ভারতের গণমাধ্যম আনন্দবাজারের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, নরেন্দ্র মোদি মন্ত্রিসভার অন্যতম নারীমুখ তিনি। রাজনীতির আঙিনায় যে সদ্য পা রেখেছেন, তা একেবারেই নয়। বেশ কয়েক বছর ধরে দাপটের সঙ্গেই বরং রাজনীতিতে ‘রাজ’ করছেন তিনি।
হরসিমরত কউর বাদল। ২০০৯ সালে রাজনৈতিক জীবনের সূত্রপাত। ভাতিন্ডায় কংগ্রেস প্রার্থী রনিন্দ্র সিংহকে পরাজিত করেন তিনি। অমরেন্দ্র সিংহের ছেলেকে ১ লাখ ২০ হাজার ভোটে পরাজিত করায় দেশীয় রাজনীতির শিরোনামে উঠে আসেন রাজ্য রাজনীতির এই পরিচিত মুখ।
তিনিই শিরোমণি অকালি দল (সাদ) এর একমাত্র নেত্রী যিনি চলতি বছরে নরেন্দ্র মোদীর মন্ত্রিসভায় জায়গা করে নিয়েছেন। সাদের সভাপতি ও পাঞ্জাবের প্রাক্তন উপ-মুখ্যমন্ত্রী সুখবীর সিংহ বাদলের স্ত্রী তিনি।
২০১৪ সালে স্বামীর কাজিন কংগ্রেস প্রার্থী মনপ্রীত বাদলকে ভাতিন্ডা থেকে পরাজিত করে সংসদীয় রাজনীতিতে প্রবেশ করেন তিনি। পাঞ্জাবের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রকাশ সিংহ বাদলের পুত্রবধূ তিনি।
হরসিমরতের তিন সন্তান রয়েছে। তিনজনই মেধাবী ছাত্র-ছাত্রী। দিল্লিতে বড় হয়েছেন হরসিমরত। পড়াশোনা করেছেন টেক্সটাইল ডিজাইনিং নিয়ে।
সদ্যসমাপ্ত লোকসভা নির্বাচনে পাঞ্জাবের ভাতিন্ডার সাংসদ হয়েছেন তিনি। মোদির মন্ত্রিসভায় এবারে খাদ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছেন।
মহারাজা রণজিত সিংহের সেনাবাহিনীর জেনারেল ছিলেন আত্তার সিংহ মাঝিটিয়া। এই আত্তার সিংহেরই বংশধর হরসিমরত কউর বাদল। হরসিমরতকন্যা ভ্রূণ হত্যার বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন বার বার। ‘নান্নি ছান’ নামে সংগঠনের মাধ্যমে এই ইস্যু নিয়ে কাজ করেন তিনি।
নারীদের নিয়ে স্বরোজগার গোষ্ঠীও গড়েছেন তিনি। যেখানে পাঞ্জাবের সনাতনী ফুলকারী ও ডারি নিয়েও কাজ করেন গ্রামীণ মহিলারা। ভাতিন্ডায় অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্স তৈরির পিছনেও তার অবদান রয়েছে।
পাঞ্জাব রাজ্যটির ক্ষেত্রে ড্রাগের নেশা একটা বড় সমস্যা। অকালি দল নেত্রী হরসিমরতও সেই সংক্রান্ত বিতর্কে জড়িয়েছেন বারবার। তবে তার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হয়নি কোনদিনই।