আমির খসরু

ঈদের আগে খালেদার মুক্তি ও পরে নির্বাচন চায় বিএনপি

ঈদের আগে বিএন‌পি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার মু‌ক্তি ও ঈদের পরে পুনরায় জাতীয় নির্বাচনের দা‌বি জা‌নিয়েছে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী।

‌রবিবার (২ জুন) জাতীয় প্রেসক্লা‌বে নাগ‌রিক অধিকার আন্দোলন ফোরামের উদ্যোগে প্রে‌সি‌ডেন্ট জিয়াউর রহমা‌নের ৩৮ তম শাহাদৎ বা‌র্ষিকী উপল‌ক্ষে ও বেগম খা‌লেদা জিয়ার সুস্থতা কামনায় আ‌য়ো‌জিত আলোচনা সভায় তি‌নি এ দাবি জানান।

‌খসরু বল‌নে, অন্যায়ভা‌বে বি‌এনপ‌ি চেয়ারপারসন খা‌লেদা জিয়া‌কে কারাগা‌রে আট‌কি‌য়ে রে‌খে‌ছে বর্তমান অবৈধ সরকার। ওনা‌কে এই ঈদের আগে মু‌ক্তি দিন। একই সঙ্গ‌ে তি‌নি আরও ব‌লেন, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন চুরি করা নির্বাচন। এই নির্বাচন বাতিল ঘোষণা করে ঈদের পরে পুনরায় নির্বাচন দিন। দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করুন। দেশের জনগণের অধিকার ফিরিয়ে দিন।

তিনি ব‌লেন, এই সরকার দেশের জনগণের অধিকার হরণ করার জন্য, গণতন্ত্রকে ধ্বংস করার জন্য, চারবার চুরি করেছে। একবার চুরি করেছে জনগণের দল বিএনপির নেতাকর্মী ও পোলিং এজেন্টদের জেলে ভরে, দ্বিতীয়বার চুরি করেছে আগের দিন রাত্রে, আর তৃতীয় চুরি করেছে নির্বাচনের দিন, তৃতীয় চুরির পরে চতুর্থ আরেকটি চুরি করেছে সেটা হল ফলাফলের মাধ্যমে চুরি। এ সরকার চুরি করে ক্ষমতায় এসেছে।

বর্তমান বাংলাদেশের রাজনীতিবিদরা ইতিহাসবিদ হয়ে গেছে মন্তব্য করে তিন‌ি বলেন, অনেকেই ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস রচনা করতে চাচ্ছে। কিন্তু ক্ষমতায় থেকে ইতিহাস রচনা করা যায় না। প্রোপাগান্ডা করে ইতিহাস রচনা করা যায় না। বর্তমানে কিছু রাজনীতিবিদরা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ইতিহাস বিকৃত করতে চাচ্ছে এটাকে আমি প্রোপাগান্ডা বলব, এটাকে ইতিহাস বলা যেতে পারে না। আর এ প্রোপাগান্ডা কোন‌দিনও সফল হ‌বে না।

তিনি বলেন, দেশের স্বাধীনতা ঘোষণা দেওয়া, নিজে পরিবার-পরিজন রেখে যুদ্ধ করা, জনগণ, আইনশৃঙ্খলা বাহিনী‌দের একত্রিত করে যুদ্ধ করা এবং ৭৫ এর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অন্ধকার থেকে আলোতে আনার ইতিহাস শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ইতিহাস। এই ইতিহাস কেউ কখ‌নেও মু‌ছে ফেল‌তে পার‌বে না।

আয়োজক সংগঠনের উপদেষ্টা সাঈদ আহমেদ আসলামের সভাপতিত্বে এবং সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক এম জাহাঙ্গীর আলমের সঞ্চালনায় আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে আরও বক্তব্য দেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আজম খান, নির্বাহী কমিটির সদস্য আবু নাসের মোহাম্মদ রহমতউল্লাহ, শাহ মো. নেসারুল হক, কৃষক দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য মোজাম্মেল হক মিন্টু, আলহাজ্ব খলিলুর রহমান ইব্রাহিম, মৎস্যজীবী দলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য ইসমাইল হোসেন সিরাজী প্রমুখ।

শেয়ার করুন: